শ্রীমঙ্গলে পর্যটকদের বিনোদনে যোগ হয়েছে ‘মহারাজা এক্সপ্রেস’
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি॥ দেশ-বিদেশে চায়ের রাজধানী বলে খ্যাত পর্যটন শহর মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে এবার পর্যটকদের বিনোদনের জন্য নতুন আয়োজন ঘোড়ার গাড়ি ‘মহারাজা এক্সপ্রেস’। রাজধানীর পুরান ঢাকা এলাকায় তা সৌখিন মানুষের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এছাড়াও প্রতিদিন পুরান ঢাকার রাস্তায় চলাচলের পাশাপাশি এ গাড়িগুলো ঈদ, পহেলা বৈশাখ, বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় দিবস ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনে বর্তমানেও গুরুত্ব বহন করে। এভাবেই ঘোড়ার গাড়িগুলো দেশের ঐতিহ্যের নিদর্শন হয়ে কোনক্রমে টিকে আছে।
বৈশাখে উপলক্ষ করে পর্যটননগরী শ্রীমঙ্গলের বিনোদনের অন্যতম বাহন হিসেবে যুক্ত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী এই ঘোড়ার গাড়ি। এক সময়ে বাংলার বিভিন্ন এলাকায় ঘোড়ারগাড়ি ব্যবহার সহজলভ্য হলেও বর্তমানে তা অনেকটাই বিলুপ্তির পথে। বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নির্ভর কোনো বিনোদন পর্যটনের সঙ্গে সংযুক্ত হলে তা দেশের সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করবে। এ দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই আয়োজকরা একে সংযুক্ত করেছেন।
রবিবার পহেলা বৈশাখ থেকে ‘মহারাজা এক্সপ্রেস’ এর যাত্রা শুরু হয়েছে। সকালে অনুশীলন চক্রের মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেয়ার মধ্যে দিয়ে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
জানা যায়, সপ্তরথী পরিবারের উদ্যোগে এই ঘোড়ার গাড়ি বের করা হয়েছে। শহরের সাতজন পর্যটক ব্যবসায়ী এক হয়ে এই গাড়িটি তৈরি করেছেন। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। এর নাম দেয়া হয়েছে ‘মহারাজা এক্সপ্রেস’। প্রতিদিন শহরের বধ্যভূমি-৭১’র সামনে গাড়িটি দাঁড়িয়ে থাকবে। ওখান থেকে ভ্রমণ পিপাসুদের নিয়ে নীলকণ্ঠ চা কেবিন (সাত কালারের চা) পর্যন্ত যাবে। টি হ্যাভেন রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সিদ্দিক মো. মুসা বলেন, আমাদের শ্রীমঙ্গলে বর্তমানে প্রচুর দেশি-বিদেশি পর্যটকরা আসছেন। তাদের কাছে ঘোড়ার গাড়ির একটি চাহিদা রয়েছে। দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যর কথা ভেবে শ্রীমঙ্গল পর্যটন স্পটে ঘোড়ার গাড়ি সংযোজনের বিষয়টি আমি প্রথমই কল্পনা করি। পরবর্তীতে তা ইকোট্যুর গাইড তাপস সহ অন্যান্যদের সঙ্গে শেয়ার করলে সবাই আগ্রহ প্রকাশ করেন। তারপর সম্মিলিত উদ্যোগে এটি
ক্রয় করা হয়েছে। এই গাড়িতে এক সঙ্গে দশজন বসতে পারবেন। প্রাপ্তবয়স্তদের জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে একশ টাকা করে। আর দশ বছর পর্যন্ত শিশুদের জন্য ৫০ টাকা করে।
ট্যুরিস্ট গাইড তাপস দাশ বলেন, শ্রীমঙ্গলের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে এটি একটি ভালো উদ্যোগ। এর মাধ্যমে এই শহরে আসা পর্যটকরা বাড়তি আনন্দ পাবেন।
মন্তব্য করুন