সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সহোদরের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলার বিচার দাবি

September 12, 2018,

প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ॥ কমলগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সহোদর আসকর মিয়ার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা ও পুলিশ প্রশাসনকে প্রভাবিত করে মামলা করে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। ২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আলীনগর ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে সন্ত্রাসীদের নিয়ে হামলার এই ঘটনার বিচার দাবি করেছেন তিন ভাই। বুধবার দুপুরে কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে  মিজানুর রহমান এসব অভিযোগ করেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে নিজের জমাকৃত টাকা আত্মসাৎ ও নির্যাতনের অভিযোগ করেন আসকর মিয়া।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের এক ভ্রাতা আসকর মিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত। বিয়ের পর থেকে আদমপুরস্থ শ্বশুড় বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। সে বিবাহ বন্ধনের পর হতে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবৎ আমরা তিন ভাইয়ের বিরোধ চলছে। বিরোধের জের ধরে ২ সেপ্টেম্বর সাত, আট জন শশস্ত্র সন্ত্রাসী নিয়ে আমার ভাই আসকর মিয়ার শ্যালক মতিউর রহমান সহ সিএনজি যোগে রামেশ্বরপুর গ্রামস্থ আমাদের বসত বাড়ীতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অর্তকিতে হামলা চালায়। এ সময় সন্তান সম্ভবা বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে ঘর থেকে টেনে হেছড়ে অমানুষিক মারপিট করে। চিৎকার শুনে ঘর থেকে আমরা বেরিয়ে আসলে আসকর মিয়া ও তাহার শালা মতিউর রহমান আমাদেরকে মারপিট করে এবং ধারালো দাও দিয়ে আমাদেরকে কুপিয়ে হত্যার প্রচেষ্ঠা চালায়। কয়েকজন সন্ত্রাসী সশস্ত্র অবস্থায় এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়লেও কিছক্ষণ পরেই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আসকর মিয়া কর্র্তৃক প্রভাবিত হয়ে সন্ত্রাসীদের আটক না করে আহত অবস্থায় হাসপাতালে যাওয়ার পথে আমরা তিন ভাইকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের পক্ষপাতমূলক আচরণের কারণে ন্যায় বিচার না পাওয়ার আশংকায় ৫ সেপ্টেম্বর আমার বড় বোন তোলা বেগম বাদী হয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপরও অপরাধীচক্র আমাদেরকে নানা প্রকার হুমকী ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করায় আমরা চরম আতংকের মধ্যে দিনাতিপাত করছি। যে কোন মুহুর্তে সন্ত্রাসীরা আবারও আমাদের জানমালের ক্ষতি সাধন করতে পারে। ঘটনার সরেজমিন তদন্ত পূর্বক প্রকৃত সত্য ঘটনা উদঘাটন ও আমাদের উপর হামলা নির্যাতনের সুবিচার প্রাপ্তির দাবী জানাচ্ছি।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আসকর মিয়া বলেন, আমার টাকায় তৈরি ঘরে ভাইয়েরা আমাকে বাড়িতে যেতে দিচ্ছে না। আমি মিশন থেকে এসে ছোট ভাই মিজানুর রহমানের কাছে ধান চালের ব্যবসায়ের জন্য সাড়ে চার লক্ষ টাকা দেই। সে টাকাও আত্মসাৎ করেছে। আমি ছুটিতে গিয়ে সন্তানদের নিয়ে বাড়িতে মাকে দেখতে গেলে তিন ভাই ঘরের ভিতরে আমার সন্তানদের আটকে রেখে আমার উপর অতর্কিতে হামলা চালায়। খবর পেয়ে আমার শ্যালক ও থানা পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।

অভিযোগ বিষয়ে কমলগঞ্জ থানার এসআই চম্পক দাম বলেন, পূর্ব থেকেই ভাইয়ের কাছে টাকা প্রাপ্তি বিষয়ে আসকর মিয়ার অভিযোগ ছিল। ঘটনার দিনে বাড়িতে মাকে দেখতে গিয়ে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে তিন ভাই মিলে আসকর মিয়া ও তার স্ত্রীকে মারধোর করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com