সূচনা হল কুলাউড়ার কানিহাটি বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জীবনে নতুন দিগন্তেরৃৃ

March 6, 2019,

হাজীপুর প্রতিনিধি॥   কুলাউড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কানিহাটি বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ডিজিটাল হল কক্ষে এনজিও ওয়াফের বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন এর সহযোগীতায় কানিহাটি বহুমূখী  উচ্চ বিদ্যালয় সক্রেটিস বিজ্ঞান ক্লাব গঠন করার লক্ষে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

৬ মার্চ বুধবার দুপুর উক্ত সভায় কানিহাটি বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য মোঃ ছয়ফুল আলম সাইফুলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসম কামরুল ইসলাম ও কানিহাটি বহমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ফজল উদ্দিন আহমদ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ওয়াফের প্রকল্প সমন্নয়কারী মোঃ আনোয়ার হোসেন, ওয়াফের প্রকল্প সহাকারী সমন্নয়কারী মোঃ রুমান আলী, কানিহাটি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শিক্ষক বাবুসেনা সিংহ, গনিত শিক্ষক মোঃ দুদু মিয়া, বাংলা শিক্ষক বিপ্রদাশ মজুমদার,

পরে ক্লাবের ৩৭ জন সদস্যর মধ্য থেকে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরি কমিঠি গঠন করা হয়। ক্লাবে বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন এর পক্ষথেকে বিজ্ঞান গবেষণা মূলক কিছু বই ও নাস্তা বিতরণ করা হয় । উলেখ্য যে, বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন এর সহযোগীতায় এনজিও ওয়াফের বাস্তবায়নে কুলাউড়া উপজেলায় ১৭ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১টি মাদ্রাসা এবং কমলগঞ্জ উপজেলায় ১১ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১টি মাদ্রাসা সহ মোট ৩০ টি বিজ্ঞান ক্লাব গঠন করা হবে । এই ক্লাবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে ক্ষুদে বিজ্ঞনী তৈরী করা হবে।এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক দক্ষতা সৃষ্টির লক্ষে বিজ্ঞান ক্লাবের কুইজ প্রতিযোগীতা, বিজ্ঞান মেলা, বিজ্ঞান নিয়ে র্বির্তক প্রতিযোগীতা, লিডারশিপ প্রশিক্ষক দেওয়া হবে। ছাত্র/ছাত্রীদের বিজ্ঞান নিয়ে ছোট ছোট প্রকল্প তৈরী করার সুযোগ সুষ্টি হবে।

এছাড়াও আজ থেকে ঐতিহ্যবাহী কানিহাটি বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল ডায়রী চালু হলো । বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য ছয়ফুল আলম সাইফুলে গত সাধারন সভায় অভিভাবকদের সম্মতি ও ম্যানেজিং কমিটির প্রতিটি সভায় প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান উন্নয়নের জন্য স্কুল ডায়রী চালু করার। তিনির প্রস্তাবে প্রধানশিক্ষক, সভাপতি, ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্যদের সর্ব  সম্মতিতে আজ এই ডায়রী চালু করার। এই ডায়রী শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন স্কুলে আনবে, প্রতিটি ক্লাসে বাড়ীর কাজ লিখে নিবে, বাড়ীতে অভিভাবকগন বাড়ীর কাজ দেখবেন এবং শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আদায় করবেন এবং নিচে স্বাক্ষর করবেন, পর দিন বিদ্যালয়ে শিক্ষক বাড়ীর কাজ চেক করবেন, আবার নতুন বাড়ীর কাজ দিবেন।এভাবে প্রতিদিন ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকদের মধ্যে যোগাযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে এই স্কুল ডায়রী চালু হয়েছে। এছাড়াও এই ডায়রীতে রয়েছে শিক্ষার্থী এই ডায়রী ব্যবহারের নিয়মাবলী, মাতা-পিতা/অভিভাবকদের করনীয়, শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলার বিষয়গুলো, শিক্ষাথীদের উদেশ্যে নীতি কথাসমুহ, শিক্ষার্থীর জন্য অবশ্যই পালনীয় বিষয়সমুহ, জাতীয় সংগীত শপথ বাক্য, ছাত্র/ছাত্রীর ব্যক্তিগত তথ্যাবলী ইত্যাদি। প্রকাশ আবশ্যক অনেক সময় শিক্ষক বলে ছাত্র/ছাত্রী বিদ্যালয়ে অনুউপস্থিত থাকার কারনে রেজাল্ট খারাপ, অভিভাবক বলেন আমার ছেলে প্রতিদিন স্কুলে আসে। অভিভাবক সদস্য ছয়ফুল আলম জানান ছাত্র/ছাত্রী বিদ্যালয়ে অকারণে অনুপস্থিত থাকে বাড়ীতে গিয়ে বলে সে স্কুলে ছিল এই ডায়রীই প্রমান করবে সে কোথায় ছিল, কতদিন বিদ্যালয়ে এসেছে এবং কি কি করেছে। তিনি আরও জানান বিদ্যালয়ের নতুন ম্যানেজিং কমিটি গত এক বছরে ব্যাপক উন্নয়ন মুলক কাজ শুরু করছে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com