‘আসন্ন নির্বাচনে শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে দেশ বিরোধি অপশক্তির নেক্সাসকে পরাজিত করতে বদ্ধপরিকর’ আ্যডভোকেট আজাদ, মৌলভীবাজার -৪ আসনে প্রার্থী

November 12, 2018,

স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজার-৪ (কমলগঞ্জ -শ্রীমঙ্গল)আসনের মনোনয়ন ক্রয় করেছেন মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট এ এস এম আজাদুর রহমান (আজাদ)।অপেক্ষাকৃত তরুন ও ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী এলাকায় তার রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। বিশেষ করে আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতা -কর্মী এবং তরুনদের নিকট নির্বাচনী মাঠের ক্রেজ হিসেবে আবির্ভুত হয়েছেন। তাঁর মনোনয়ন ক্রয়ের খবরে আসনের নির্বাচনী মাঠে বইছে নানা মুখরোচক আলাপচারিতা।

মুক্তিযুদ্ধ বিরোধিদের বিরুদ্ধে প্রবলভাষী বক্তা, দলের প্রতি আনুগত্য এবং নিজের ব্যক্তি ইমেজ ও তরুনদের সাথে গভীর সম্পর্ক রেখে চলার নীতির কারনে এলাকায় জনপ্রিয় এক নাম পিপি আজাদ। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নেতা-কর্মীদের সুখে, দুঃখে সবসময় পােেশ থাকার প্রত্যয় তাঁর।এবারের নির্বাচনে মনোনয়ন চাওয়ার কারন সম্পর্কে তিনি বলেন, সারাদেশে চলমান উন্নয়ন চলছে দ্রুতগতিতে, অথচ দুর্ভাগ্যবশত এ জনপদের মানুষ প্রকৃত উন্নয়ন বঞ্চিত।অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া জনগণের জীবনমান সুষমভাবে উন্নতকরণ, আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনসমুহের প্রকৃত ও ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন, শিক্ষিত ও দক্ষ কর্মী গড়ে তুলে সমাজের সকল শ্রেণীর নারী এবং তরুনদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্তি, প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে উদ্যেক্তা সৃষ্টিতে প্রণোদনা এবং দেশের শিল্পোদ্যোক্তাদেরকে  শিল্প কারখানা স্থাপনে আগ্রহ সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের একটি ইকোনমিক হাবে রুপান্তর করার ঐকান্তিক ইচ্ছার প্রেক্ষিতে প্রার্থী হিসেবে নিজের আগ্রহ।এছাড়া, হতদরিদ্র, সামাজিক সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত প্রবীণদের জন্য ‘জেরিয়াট্রিক কেয়ার সেন্টার’ স্থাপনের মাধ্যমে বয়স্ক পুরুষ- মহিলাদের জন্য শ্রান্তি নিবাসের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। তবে, এলাকার তরুনদের জন্য তাঁর ওয়াদা হলো – কারিগরী শিক্ষায় শিক্ষিত ও যে সব পরিবারে উপার্জনক্ষম ব্যক্তি নেই সেসব পরিবারের কমপক্ষে একজন যোগ্যতাসম্পন্ন তরুন-তরুনীকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া এবং পর্যায়ক্রমে বেকারত্ব দুরীকরণে আওয়ামীলীগ সরকারের নীতির সাথে সঙ্গতি রেখে জীবনমান উন্নয়নে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।আগামী ৫ বছরের মধ্যে নিজের এলাকার সকল উচ্চশিক্ষিত বেকার তরুন -তরুনীদের অর্থনৈতিক প্রবাহে নিয়ে আসার দৃঢ় সংকল্পে প্রণোদনা, প্রশিক্ষণ, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরী করে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, এলাকার প্রায় ৮ লক্ষ মানুষের দায়িত্ব নেওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য জনগণের নিকট সরকারের প্রকৃত সেবা পৌঁছে দেওয়া। জনগণের একজন প্রকৃত সেবক হতে আগ্রহী কর্তৃত্বপরায়ণ আত্মপ্রচারক হওয়ার বিন্দুমাত্র বাসনা নেই। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ আজ তাঁরই সুযোগ্য তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বিশে^ তাক লাগিয়ে দিয়েছে। শেখ হাসিনার সৃজনশীল ও ডায়নামিক নের্তৃত্বের কারনে মাত্র ১০ বছরে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। এ উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে পারে  প্রবীণ ও তরুনদের সমন্বিত নের্তৃত্ব।

 এডভোকেট এ এস এম আজাদুর রহমান (আজাদ) ছাত্রাবস্থা থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ে পড়াকালীন ৮৬-৮৭’ সালে বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য হিসেবে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকার বিরোধি আন্দোলনে নেমে পড়েন।পরবর্তীতে ৯১ সালে বিশ^বিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ¯œাতকোত্তর সম্পন্ন করার পর আইন পেশায় জড়িয়ে পড়েন এবং কমলগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।পরবর্তীতে কমলগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।এছাড়া,তিনি মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগ আইনজীবি পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ^াসী গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে আত্মপ্রকাশ করা শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাব’র প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি,কমলগঞ্জ আবাহনী সমাজকল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক,অপরাধ -সংশোধন পুনর্বাসন সংস্থার আজীবন সদস্য,মৌলভীবাজার বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল ও বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য, হার্ট ফাউন্ডেশন,মৌলভীবাজারের প্রতিষ্ঠাতা সহ- সভাপতি সহ বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনের সাথে জড়িত।

নিভৃতচারী ও প্রচারবিমূখ এ আওয়ামীলীগ নেতা সমাজসেবার ক্ষেত্রে বিভিন্ন অবদান রাখলেও সেগুলো কখনোই ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করেননি।খোঁজ নিয়ে জানা যায়,এলাকায় বিদ্যালয়, মক্তব-মাদ্রাসা,ঈদগাঁ,কবরস্থান ইত্যাদি দান করেছেন তিনি।

মনোনয়ন ক্রয়ের প্রশ্নে তিনি এ প্রতিবেদকে বলেন, এ আসনের জনগণ পরিবর্তন চায়। পরিবর্তন প্রত্যাশী মানুষের চাপে ও দলের সাংগঠনিক অবস্থান দৃঢ়কল্পে এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে সকল স্তরের নেতা -কর্মীদের মধ্যে চাপা বিরাজমান অভিমান প্রশমনে ভূমিকা রাখার তাগিদে মনোনয়ন ক্রয়।বর্তমান সাংসদের প্রতি দলীয় নেতা- কর্মীদের আস্থা নেই। এলাকার  সাধারণ জনগণও পরিবর্তনের পক্ষে। এ আসনে সংসদ সদস্যের বিপরীতে ৫ জন প্রার্থী হয়েছেন, যা আস্থাহীনতার প্রতীক।বিএনপি-জামায়াতের দোসররা সাংসদকে কেন্দ্র করে নিজেদের আখের গোছাচ্ছে,দুঃখজনকভাবে নিজ দলের নেতাকর্মীদের সাথে বিমাতাসুলভ আচরনের কারনে উপজেলা ছাত্রলীগ – যুবলীগ – আওয়ামীলীগের সকল স্তরের নেতাকর্মীরা আজ বিকল্প প্রার্থীদের সাথে মাঠে রয়েছেন।

সুতরাং,আগামী নির্বাচন হবে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন,আমি মনোনয়ন পেলে যেকোনমুল্যে উন্নয়ন ও দেশবিরোধি অপশক্তির নেক্সাস এবং আস্ফালনকে পরাজিত করতে সচেষ্ট হব সেইসাথে এ আসনে বিরোধি শিবিরের যত বড় হেভীওয়েটই নির্বাচনে আসুক না কেন,নৌকার অত্যন্ত বিশ^স্ত জনগণকে সাথে নিয়ে, উন্নয়নের ঝান্ডাবাহী নতুন প্রজন্মের বিচক্ষণ তরুনদের সমর্থনে সর্বোপরি নেত্রীর দোয়া ও দিকনির্দেশনায় নৌকার জয় সুনিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। তবে, যেই মনোনয়ন পাবেন তার সাথেই কাজ করে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com