চান্দা চাই না বান্দা চাই : মৌলভীবাজার জেলা বিশ্ব ইজতেমা-১৮ : আহলান ওয়া সাহলান

January 23, 2018,

মুজিবুর রহমান মুজিব॥ শান্তির ধর্ম মহাপবিত্র ইসলাম একটি পূর্নাঙ্গঁ জীবন বিধান। আল্লাহ মনোনীত ধর্ম্ম। ইসলাম ধর্ম্মের প্রচারক-আদর্শ রাষ্ট্র নায়ক রসুলে খোদা হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (দঃ) স্যাইয়েদুল মুরছালিন-খাতিমুন্নাবিয়্যীন ও বটেন। মাত্র তেষট্টি বৎসর বয়সে নবুওতির মহান দায়িত্ব পালন শেষে মক্কা-মদীনা তথা দু’জাহানের বাদশাহ্ হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (দঃ) আল্লাহর দরবারে হাজিরা দিয়ে মদিনা মনোয়ারায় চীর শয়ানে শায়িত আছেন। ইসলামী আইনের চারটি উৎস ১. আলকোরআন, ২. হাদিসে রসুলুল্লাহ, ৩. ইজমা, এবং ৪. কিয়াস।

মহানবীর মাত্র তেইশ বৎসর নবুওতি জীবন শেষে খোলাফায়ে  রাশেদীন, সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন, তাবে তাবেঈন, সলফে সালেহীন, আলেম ওলামা, পীর মাশায়েক গন ইসলাম প্রচারের সেই গুরু দায়িত্ব পালন করেছেন-করছেন। সর্ব্ব শক্তিমান মহান আল্লাহ তায়ালার বানী আসমানী কিতাব আলকোরআন নাযিল শেষ এবং ওহী-বন্ধের পর আর কোন দিন নবীও আসবেন না আল্লাহর ওহীও নাযীল হবে না। পাঞ্জাবের কাদিয়ান এলাকার এক নালায়েক মুর্খ গোলাম আহমদ নিজেকে ভন্ড নবী দাবী করে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছিলেন তার অনুসারিগনই কাদিয়ানী হিসাবে কুখ্যাত। ভন্ড ও বে-আক্কল গোলাম আহমদ কাদিয়ানী পায়খানায় দূর্ঘটনা কবলিত হয়ে পেশাব-পায়খানা খেতে খেতে প্রাণ ত্যাগ করেছিলেন। ইতিপূর্বে মহা-মানব মোহাম্মদ মোস্তফা (দঃ) এর মহাপ্রয়ানের পর বিভ্রান্তি ও ভন্ড নবীর আবির্ভাব ঘটলে ইসলামের প্রথম খলিফা সিদ্দিকে আকবর হযরত আবু বক্কর সিদ্দিক কঠোর হস্তে তা দমন করতঃ মহানবী প্রদর্শিত পথে রাষ্ট্র পরিচালনা ও ইসলাম প্রচার করতে থাকেন। যুগে যুগে দেশে দেশে শান্তির ধর্ম মহাপবিত্র ইসলাম প্রচারে মুসলিম শাসক রাষ্ট্রনায়ক গন নহেন বড়পীর হযরত আব্দুল কাদির জিলানী, গরীবে নেওয়াজ হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ), নিজাম উদ্দিন আওলিয়া, দাতা গঞ্জেস কর হিসাবে সুপরিচিত হযরত আলী ও সমান হুজাভিরী, হযরত শাহজালাল ইয়ামেনী (রঃ), শাহ ফরিদ, শাহ আমানত, হযরত বায়জিদ বোস্তামী, হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা শেরে সওয়ার চাবুকমার বোগদাদী প্রমুখ সংসার ত্যাগী পীর আওলিয়াগন আল্লাহ ও রাসুলের প্রেমে ফানাফিল্লাহ হয়ে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন-ধর্ম্ম প্রচারে তরবারি নয় তসবিহ্-ই ছিল তাদের মূল হাতিয়ার। মূল মন্ত্র।

ইসলামী আইনের প্রথম ও প্রধান উৎস আসমানী কিতাব আলকোরআনে সুরা ইমরানের একশত চার নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন- æ আমি চাই তোমাদের মধ্যে এমন একদল লোক, যারা মানুষকে সত্যের পথে আহ্বান করবে আর মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখবে। এই দলটিই হল সফল কামি-”। ইসলামী আইনের দ্বিতীয় উৎস মহানবীর হাদীস। তাবলিগ এর গুরুত্ব প্রসঙ্গেঁ মহানবী বলেন æ আমার পর আর কোন নবী আসবেন না, অতএব আমার একটি বাণী হলেও অন্যের কাছে পৌঁছে দাও”-। বিদায় হজ্জের ঐতিহাসিক ভাষনে মহানবী মোহাম্মদ মোস্তফা (দঃ) মানবজাতিকে যে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন তা মানবজাতিকে রোজ কিয়ামত পর্য্যন্ত পথ প্রদর্শন করবে, দিশেহারা, পথহারা মানব জাতিকে পথ দেখাবে। আলোক বর্তিকা হয়ে আলো দেখাবে।

বৃটিশ ভারতের শেষভাবে ১৯২৬ সালে দিল্লীর মেওয়াতে দারুল উলুম দেওবন্দের মুরব্বি মৌলানা মোহাম্মদ ইলিয়াস (র) দাওয়াত ও তাবলিগের কাজ শুরু করেন। স্বল্প পরিসরে অল্প সংখ্যক অনুসারি নিয়ে তিনি যে দাওয়াতি কাজ শুরু করেন তা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে সাড়া জাগায়, সমর্থকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকলে ১৯৪১ সালে মেওয়ায় প্রথম ইজতেমা অনুষ্টিত হয়। ৪৪ সালের দিকে বাংলা অঞ্চলে এই দাওয়াতি কার্য্যক্রম বৃদ্ধি পেতে থাকলে ১৯৪৬ সালে কাকরাইল মসজিদে বাংলাদেশের প্রথম বিশ^ ইজতেমা অনুষ্টিত হয়। বৃটিশ শাসনের অবসান ও পাকিস্তানী স্বাধীনতার পর ৪৮ সালে চট্টগ্রাম হাজী কেম্পের মাধ্যমে বিশ^ ইজতেমার শুরু। এই ধারাহিকতায় অতঃপর ৫৮ সালে নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ, ৬৫ সালে টঙ্গীঁর পাগারে হয়ে ৬৬ সাল থেকে টঙ্গীঁর ঐতিহ্যবাহী তুরাগ তীরে বিশ^ ইজতেমা অনুষ্টিত হচ্ছে। তুরাগ তীরে ১৬০ একর জায়গা জুড়ে অনুষ্টিত বিশ^ ইজতেমা বিশ^ মুসলিম ধর্মীয় সমাবেশ। সরকার-প্রশাসন-জনগনের সম্মিলিত প্রয়াসে শান্তিপূর্ন ভাবে অনুষ্টিত এই বিশ^ ইজতেমা বহির্বিশে^ বাংলাদেশের মর্য্যাদা, ইমেজ ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করছে। প্রশংসিত হচ্ছে। তুরাগ তীরের এই ইজতেমা সত্যিকার অর্থেই একটি বিশ^ ইজতেমার মর্য্যাদা লাভ করেছে। ভারত, পাকিস্তান, ইরান, ইরাক সৌদি আরব সহ বিশে^র ৫০টি দেশের হাজার হাজার এবং বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মুসল্লিয়ানের সরব উপস্থিতি, আমবয়ান, এবাদত, বন্দেগী, জিগির আজগার, তথা আল্লাহ- রাসুল ইসলামী আকিদার নামে প্রকম্পিত হয় টঙ্গীঁর তুরাগ তীর। আখেরী মুনাজাতের মাধমে বিশ^ মুসলিমের এই মহা সমাবেশ মহা মিলন মেলার পরিসমাপ্তি ঘটে। জানুয়ারী এলেই প্রচন্ড শীত-কুয়াশা-উপেক্ষা করে তাবলিগ জামাতের মুরব্বি-মুসল্লিয়ানগন টঙ্গীঁর তুরাগ তীরে বিশ^ ইজতেমায় যোগদানের প্রস্তুতি গ্রহন করে থাকেন। তুরাগ তীরে স্থান সংকুলান না হওয়াতে, টঙ্গীঁর চাপ কমাতে এবং সর্ব্বোপরি মফস্বলি প্রান্তিক জনগোষ্টীর ইজতেমায় যোগদানের সুযোগ দানের লক্ষে ইজতেমা কর্তৃপক্ষ মফস্বল অঞ্চলে ইজতেমা আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। বিকেন্দ্রী করনের এই যুগে তাবলিগ জামাত কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তটি যুগোপযোগি ও ঐতিহাসিক। এই আলোকে বিগত দিনে মহাসমারোহে সাফল্যের সঙ্গেঁ সু-সমাপ্ত হয়েছে বিশ^ ইজতেমা-সিলেট।  পীরে কামেল হযরত শাহ জালাল ইয়েমেনীর পূন্যভূমি সিলেটে বার্ষীক ইজতেমার সাফল্যের পর এবার পচিশ থেকে সাতাইশে জানুয়ারী পর্য্যন্ত সদর উপজেলাধীন জগন্নাথপুর এলাকায় অনুষ্টিত হবে মৌলভীবাজার জেলা ইজতেমা দুই হাজার আঠারো। এই উপলক্ষে বিগত বৎসর থেকেই জেলা ইজতেমার প্রস্তুতি ও দাওয়াতি কার্য্যক্রম চলছে। গেল বছরের মধ্য ভাগে মৌলভীবাজার জেলা জামে মসজিদ এবং কাজিরগাঁও তাবলিগি মসজিদে গুরুত্বপূর্ন বয়ান করতঃ দাওয়াত দেন এ জেলার প্রথম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ন সচিব আলহাজ¦ শাকির উদ্দিন আহমদ। মৌলভীবাজর জেলা জামে মসজিদে সম্প্রতি আরেকটি দাওয়াতি বয়ান দেন অবসর প্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল দেওয়ান সৈয়দ শওকতুর রাজা চৌধুরী। এই দাওয়াতি অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলার প্রথম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মাহবুব মুর্শেদ, হবিগঞ্জ জেলার অতিঃ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম হুমায়ুন কবীর।

প্রথমবারের মত মৌলভীবাজার জেলা ইজতেমায় ধর্মানুরাগি মুসলিম সমাজে বিপুল সাড়া পড়ে গেছে।

এই উৎসাহ-উদ্দীপনা শুধু মাত্র তাবলিগ জামাতের মুরব্বিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। জেলা সদরের সর্ব্বত্র ধর্ম প্রাণ মুসলিম সমাজের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। জগন্নাথপুরের এন্তেজাম আন্তরিক ভাবে সু-সমাপ্ত হয়েছে। স্থানীয় সাংসদ এবং প্যেনেল স্পিকার সৈয়দা সায়রা মহসিন এলাকা পরিদর্শন করতঃ সন্তুষ প্রকাশ করেছেন। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ আজিজুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, পৌর মেয়র আলহাজ¦ ফজলুর রহমান এস্তেমাস্থল পরিদর্শন করতঃ সন্তুষ প্রকাশ করে প্রয়োজনীয় সহযোগীতার আশ^াস দিয়েছেন। সাম্প্রতিক কালের কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া জেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল ও সন্তুষ জনক।

জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তোফায়েল ইসলাম এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধান জানবাজ পুলিশ সুপার শাহ্ জালাল জেলার আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় একান্তই আন্তরিক। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং সদর উপজেলাধীন ইউনিয়ন পরিষদের ধর্মপ্রাণ মুসলিম ধর্মাবলম্বি চেয়ারম্যানগন জেলায় প্রথমবারের মত এই আয়োজনে এন্তেজাম ও খেদমতে আন্তরিকভাবে এগিয়ে এসেছেন- কাজ করছেন। ইজতেমার স্থান জগন্নাথপুর এগারো নম্বর মোস্তফাপুর ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত। মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সৌভাগ্যবান-কর্মচঞ্চল নওজোয়ান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম তাজ ধমপ্রাণ মুসলমান হিসেবে ইজতেমার খেদমতে নিবেদিত আছেন। সদর উপজেলার ইউ,পি চেয়ারম্যানদের মধ্যে চাঁদনীঘাটের হাজী আকলাই মিয়া, একাটুনার আবু সুফিয়ান, আমতৈলের রানা খাঁন শাহীন, কামালপুরের ফয়সল আহমদ, কনকপুরের রেজাউর রহমান চেধৈুরী, নাজিরাবাদ এর সৈয়দ এনামুল হক রাজা প্রমুখ সার্বিক সহযোগীতায় সার্বক্ষনিক ভাবেই প্রস্তুত। মৌলভীবাজার এর বিজ্ঞ পাবলিক প্রসিকিউটার এডভোকেট এ,এস,এম আজাদুর রহমান জানালেন সকল শ্রেনীর কর্ম্মপেশার মানুষ এর আসন বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বিজ্ঞ বিচারক এবং আইনজীবীদের জন্য স্বতন্ত্র আসনের ব্যবস্থা করা হবে। সাপ্তাহিক পাতাকুড়ির দেশ সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক সৈয়দ হুমায়েদ আলী শাহীন এবং দৈনিক মৌমাছি কন্ঠের সম্পাদক-বিশিষ্ট সাংবাদিক শেখ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ জানালেন জেলা ইজতেমা উপলক্ষে তাদের পত্রিকা বিশেষ সংখ্যা বের করবে।

দাওয়াত একটি আরবি শব্দ- অর্থ- আহ্বান করা। ইসলামী চিন্তাবিদ ও গবেষক মোঃ আং রশিদ এর মতে কল্যানের পথে আহ্বান করাই তাবলিগ।

আমি একজন ষাটোর্দ্ধ বয়োঃবৃদ্ধ হলেও তাবলিগ জামাতের কোন মুরব্বি নই-মামুলি মুছল্লি হই। তবে আমার সৌভাগ্য জেলা তাবলীগ জামাতের মুরব্বিদের মধ্যে আলহাজ¦ সৈয়দ ফারুক আহমদ, আলহাজ¦ প্রফেসর সৈয়দ ফজলুল্লাহ এব আলহাজ¦ হিফজুর রহমান আমার সুপ্রিয় সতীর্থ-বাল্যবন্ধু এবং আলহাজ¦ সৈয়দ জয়নাল আবেদীন এডভোকেট, আলহাজ¦ সৈয়দ মাসুক আলী এবং আলহাজ¦ মোঃ মাসুক প্রমুখ আমার অনুজ প্রতিম-¯েœহভাজন ও সু-সম্পর্ক যুক্ত। বিশেষতঃ প্রফেসর সৈয়দ ফজলুল্লাহ এবং সৈয়দ ফারুক আহমত এর সঙ্গেঁ এখনও আমার উঠা বসা এবং রচনার নামে এই লেখার অপচেষ্টা। মহান মালিক আমার এই সামান্য মেহনত কবুল করুন।

বিগত দিনে জেলা জামে মসজিদ এর বয়ানে কালে একজন তাবলিগী মুরব্বী একটি মহা মূল্যবান কথা বলেছিলেন- চান্দা নয় বান্দা চাই।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সমাজ জীবন – চান্দা কালচারের জোয়ারে দিশেহারা। চান্দা সংস্কৃতি জাতিকে ক্যেন্সারের মত খুবলে খাচ্ছে। দিবসে উৎসবে- হউক জাতীয় কিংবা আঞ্চলিক – চাদা চাই চাদা। চান্দাবাজি প্রতিরোধে আইনের ৩৮৫ ধারা ও যথেষ্ট নয়। কারন চাদাবাজি ডনেশন-এখন ভি.আই.পি কালচার। কিন্তু তাবলীগ জামাতে কোন চান্দা বাজি- ধান্দাবাজি নেই। সুন্নতি জোব্বা ও দাড়ি টুপি সমেত জামাতি গন আল্লাহর রাহে ছিল্লায় বের হন তাবলীগি গাট্টি-বুচকি সহ- ব্রিফকেইস-স্যুটকেইস-বেডিং হোলডেলে নয়। জামাতিগন স্বেচ্ছাকর্মি। মসজিদের আঙ্গীঁনায় নিজেরাই রান্না বান্না করেন। স্বেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে নিজেদের সকল কাজ নিজেরাই করেন।

ইসলামী আইনের বিধান মোতাবেক আখেরী নবী মোহাম্মদ মোস্তফা (দঃ) এর পর আর কোন নবী আসবেন না, ওহী বন্ধ। ইসলামী বিধানে আরো সুস্পষ্ট কোরআন, হাদীস অপরিবর্তনীয়। মানুষের তৈরী সকল আইন পরিবর্তন, পরিমার্জন, সংযোজন, সংশোধনের বিধান থাকলেও রোজ কিয়ামত পর্য্যন্ত আল্লাহর কালাম আল কোরআনের জের, জবর, পেশ, নক্তা পরিবর্তনের কোন বিধান মানব জাতির নাই। আল্লাহ-রাসুলের রাহে দাওয়াত ও হবে ইসলামী বিধি বিধান মোতাবেক- মনগড়া নয়। কাজেই বিভ্রান্তির এই সমাজে কোরআন হাদিস নিয়ে কোন বিতর্ক বিভ্রান্তির অবকাশ নেই।

মহান মালিক আমাদেরকে তাঁর রাহে চলার তৌফিক এনায়েত করুন। জেলা ইজতেমায় আগত মুরব্বিয়ান-মুছল্লিয়ান গনকে খোশ আমদেদ। আহলান ওয়া সাহলান।

[সেক্রেটারি জেলা জামে মসজিদ। সিনিয়র এডভোকেট হাই কোর্ট। সাবেক সভাপতি মৌলভীবাজার প্রেস ক্লাব]

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com