জুড়ীতে ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজ : জনদুর্ভোগ চরমে

March 19, 2017,

জুড়ী প্রতিনিধি॥ মৌলভীবাজার জেলার চান্দগ্রাম-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের জুড়ী উপজেলার বাছিরপুর এলাকায় অবস্থিত একটি সরু বেইলি ব্রিজ পার হতে দীর্ঘদিন ধরে লোকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।ব্রিজটি পার হওয়া নিয়ে চালক ও যাত্রীদেরমধ্যে প্রায়ই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছুটতে হয় পুলিশকে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাছিরপুরে জুড়ী নদীর ওপর আগে আরসিসি গার্ডার সেতু ছিল। ১০ থেকে ১২ বছর আগে ওই সেতুর একাংশ ভেঙ্গে গেলে সেখানে বেইলি ব্রিজ স্থাপন করা হয়।ব্রিজটির দৈর্ঘ্য ৭৩ দশমিক ১৭ মিটার এবংপ্রস্থে ৩ দশিমক ৬৭ মিটার। এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন দুই-আড়াই হাজার যান-বাহন চলাচল করে।সরেজমিনে দেখা গেছে, এই ব্রিজটি এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ যে, স্বয়ং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর থেকে ব্রিজের পাশে একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি টানানো হয়েছে। যাতে লিখা ‘ঝূঁকিপূর্ণ সেতু; ৭টনের অধিক যানবাহন চলাচল নিষেধ!!”কিন্তু বাস্তবে জুড়ী-কুলাউড়া-বড়লেখার মধ্যকার সংযোগ স্থাপনকারী বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় অনেকটা বাধ্য হয়েই ১৫-২০ টন ওজনের মালামাল বহনকারী গাড়ীও খুবই ঝুঁকিপূর্ণভাবে এই ব্রিজটি দিয়ে পারাপার হচ্ছে। এতকিছুর পরেও সংশ্লিষ্টকর্তৃপক্ষ ব্রিজটি যেন দেখেও না দেখার ভান করে বসে আছে।এভাবে চলতে থাকলে যেকোন মুহূর্তে ঘটতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এছাড়া দুই প্রান্তের সংযোগ সড়ক থেকে সেতুটি বেশ উঁচুতে।

এছাড়া চওড়া কম থাকায় সেতুর ওপর দিয়ে একসঙ্গে বিপরীতমুখী দুটি বড়গাড়ি অতিক্রম করতে পারছে না। এক প্রান্ত থেকেআসা গাড়ি সেতু অতিক্রমের পর অন্য প্রান্তের গাড়ি পার হচ্ছে।সিলেটের বিয়ানীবাজার থেকে রাজধানীর উদ্দেশে রওনাহওয়া রূপসী বাংলা পরিবহনের চালক আবদুল হান্নান বলেন, ‘এই রোডে চিপা ব্রিজ এইটাই। এর উপর দিয়া প্রত্যেক দিন হাজারো গাড়ি চলে। ব্রিজটা পার হইতে ১০-১৫ মিনিট সময় অপেক্ষা করতে হয়। নতুন ব্রিজ হইলে এভাবে সময় নষ্ট হইতো না।’বাছিরপুর এলাকার বাসিন্দা শাহ আলম বলেন,সেতুর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত দেখা যায় না। অনেক সময় দুই প্রান্ত থেকে সেতুতে গাড়ি উঠে মুখোমুখী হয়ে পড়ে। চালকেরা কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি হন না। তখন উভয় প্রান্তের গাড়ির চালক ও যাত্রীদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হয়। এমনকি হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, বাছিরপুর এলাকার সেতু পার হওয়া নিয়ে গাড়ির চালক ও যাত্রীদের মধ্যে প্রায়ই অপ্রীতিকর ঘটনাঘটে। পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়।সেতু এলাকা দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা সওজ অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল ওয়াহেদ চৌধুরী বলেন, ওই স্থানে নতুন একটি আরসিসি কাম পিসিগার্ডার সেতু নির্মাণের বিষয়ে প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এটি অনুমোদন হলে দরপত্র আহ্বান করে কাজ শুরু করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com