জেলা আওয়ামীলীগের ৭৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পক্ষে বিপক্ষে মন্তব্য

March 17, 2018,

মু. ইমাদ উদ-দীন॥ দীর্ঘদিন পর মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের নতুন পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটিতে নেছার আহমদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান সহ ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি প্রকাশিত হয়।
কমিটির ওই তালিকাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে। কমিটি নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য। কমিটি নিয়ে আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। নতুন কমিটি নিয়ে নানা সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরছেন। নিজ বলয়ের নেতারা কমিটিতে ঠাঁই পাওয়ায় উষ্ণ অভিনন্দন জানাচ্ছেন। আবার নিজ বলয়ের নেতারা কমিটি থেকে বাদ পড়ায় ক্ষোভও প্রকাশ করছেন। তাছাড়া অনেকেই নতুন কমিটিকে একপেশে (এক বলয়ের) বলে বিরুপ মন্তব্য করছেন।
সাবেক কমিটির অনেকেই একই পদে পুনবহাল এবং গুরুত্বপূর্ণ অনেকেই কমিটি থেকে বাদ পড়ায় বিরুপ প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করছেন। বলছেন এরকম একপেশে (এক গ্রুপের) নেতা কর্মীদের দিয়ে কমিটি হওয়ায় জেলা জুড়ে আগের মত সাংগঠনিক কাজ ঝিমিয়ে পড়বে। জেলা কমিটিতে দলের অনেক নিবেদীত প্রাণ নেতাকর্মীরা ঠাঁই না পাওয়ায় মান অভিমান আর ক্ষোভে তারা নিস্ক্রিয় হয়ে পড়বেন।
শুক্রবার দুপুরে দলের জেলা কমিটির তালিকা পৌঁছার পর থেকে ফেসবুকে এমন নানা মন্তব্যপূর্ণ স্ট্যাটাস চলছে। নতুন কমিটি নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। বলতে গেলে নতুন কমিটি নিয়ে নিজ দলের বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে চলছে সাইবার যুদ্ধ।
জানাযায় অভ্যন্তরীণ দ্বন্ধের কারনে দীর্ঘ প্রায় এক যুগের পর ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর হয় মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন। মৌলভীবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত ওই সম্মেলনকে ঘিরে উজ্জীবিত ছিলেন নেতাকর্মীরা। প্রত্যাশা ছিল ওই দিন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে তাদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবে জেলা কমিটি। আর চিরতরে অবসান হবে জেলা জুড়ে প্রকাশ্যে বিভক্ত থাকা দুটি গ্রুপের। কিন্তু হয়নি কাউন্সিল। হতাশ হন সম্মেলনে আসা দলের তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা।
জানা যায় ওই দিন সন্ধ্যায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াবদুল কাদের কাউন্সিল ছাড়াই সভাপতি সম্পাদকসহ ১১ জনের আংশিক কমিটি ঘোষণা দেন। আর দ্রুততম সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা আলোচনার ভিত্তিতে সকলের সমন্বয়ে প্রস্তুত করার জন্য উভয় গ্রুপের ১১ সদস্যের উপর মৌখিক দ্বায়িত্ব দেন। কিন্তু দলের র্দীঘদিনের বিবাদমান দু’টি গ্রুপের নেতাকর্মীরা ঠিক আগেরমতই দ্বন্ধের কারনে একসাথে বসতে না পারায় সমঝতার ভিত্তিতে পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি কেন্দ্রে অনুমোদনের জন্য পাঠানো সম্ভব হয়নি। এনিয়ে ভেতরের পুরনো দ্বন্ধ আবারো উসকে উঠে।
প্রয়াত সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী মহসীন আলী গ্রুপের নেতাকর্মীদের অভিযোগ একই বলয়ের (তাদের প্রতিপক্ষ গ্রুপের) নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় তাদেরকে না ডেকে কোন সুপারিশ বা পরামর্শ না নিয়ে একতরফা তাদের আতœীয় স্বজন (মামা-ভাগ্না, চাচা-ভাতিজা) ও গ্রুপ সর্মথক দিয়ে নতুন পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রে পাঠান। যারা কোন দিনও আওয়ামীলীগ করেননি এমনকি উপজেলা কিংবা ইউনিয়ন কমিটিতেও নাম নেই এমন অনেকেই আতœীয়তার সুবাদে দলের জেলা কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন। জেলা জুড়ে নিজেদের বলয় ধরে রাখতে এমন কৌশল করেছেন। তারা বলেন তাদের ওই পকেট কমিটি কেন্দ্রে পৌঁছালে আমরা জানতে পারি। তখন দলের স্বার্থে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অনুরোধে সকলকে নিয়ে বসে তাদের মতামতের ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য কমিটি কেন্দ্রে পাঠাই। কিন্তু তারা নানা ভাবে প্রভাবিত করে তাদের প্রেরিত কমিটির অনুমোদন নিতে মরিয়া হয়ে উঠে। বাদ পড়ে আমাদের প্রেরিত কমিটির তালিকা।
তারা বলেন জেলা জুড়ে দলের সাংগঠনিক কাজ আরো বেগবান করতে ও দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতামতকে মূল্যায়ন করতে আমরা শিগগিরই ওই পকেট কমিটি বাতিলের জন্য দলের মাননীয় সভাপতি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করব। কারন একপেশে ওই কমিটি বাতিল না হলে দলের সাংগঠনিক কাজে স্থবিরতা আসবে। তারা জানান জেলার বিভিন্ন উপজেলার হতাশাগ্রস্থ নেতাকর্মীরা প্রতিক্রিয়ায় বলছেন ওই পকেট কমিটি থাকলে তারা দলীয় রাজনীতিতে আর সক্রিয় হবেন না। আমরা অভয় দিয়ে বলেছি বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটিকে অবগত করব। অবশ্যই বিষয়টি দলের স্বার্থে বিবেচিত হবে। তবে এমন অভিযোগ মানতে নারাজ বর্তমান সভাপতি গ্রুপ। তাদের দাবী কেন্দ্র কমিটি দলের স্বার্থেই এই কমিটির অনুমোদন দিয়েছে। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া নতুন জেলা কমিটির তালিকার দেখা যায় শেষ পৃষ্ঠার নিচ অংশে অনুমোদিত কলামে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার স্বাক্ষরে তারিখ দেয়া ১-১২-২০১৭। কিন্তু কমিটি অনুমোদন হয়েছে চলতি বছরের ১৫ মার্চ। আর দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষরে কোন তারিখ নেই। শুধু চিঠির উপরে ১৫ মার্চ ২০১৮ উল্লেখ রয়েছে। উপরের অংশে ২০১৭-২০২০ সালের উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ দলের গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছে কমিটি হবে ত্রীবার্ষিক। আর ক্রমিক নম্বার গুলোরও ধারাবাহিকতা নেই। সবই এলমেল অগুছালো।
ক্রমিক নং ৩৭ থেকে সদস্য শুরু হলেও ৪০ নম্বরে সভাপতির নাম। আবার ক্রমিক নং ৪০ নাম্বারেও দেখা যাচ্ছে আরেক জন সদস্যদের নাম। ৭৮ সদস্যের কমিটি হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া কপিতে দেখা যাচ্ছে ৭৫ জনের নাম। ক্রমিক নং ১-৩৬ পর্যন্ত কাদের নাম আছে তারও কোন বর্ণনা নেই। আর ক্রমিক নং ৩৯ মোঃ ফিরুজের নাম সদস্য পদে থাকলেও তালিকার একটি পৃষ্ঠায় শেষের দিকে নির্দিষ্ট কলামের বাহিরে তাকে জাতীয় কমিটির সদস্য উল্লেখ করা হয়েছে। এটি জাতীয় কমিটি নাকি জাতীয় পরিষদ সে বিষয়টি স্পষ্ট না হওয়াতে দ্বিধা দ্বন্ধে নেতাকর্মীরা। অনেকেই বলছেন এই তালিকাটি আসলেই দলের সভাপতি ও সম্পাদক স্বাক্ষরিত কিনা? নাকি এর আড়ালে অন্য কিছু। এমন প্রশ্নে নানা রহস্যময়তার প্রশয় দিচ্ছে স্থানীয় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মনে।
নতুন কমিটি নিয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য ও যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি এম এ রহিম (সি আইপি) বলেন ১৯৬৯ সাল থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিতে আছি। ৭৫ পরবর্তী জেলা ছাত্রলীগকেও সু-সংগঠিত করি। ওয়ান ইলিভেনের সময় দলের দূর্দিনে দেশে বিদেশে আন্দোলন করেছি। দেশ রতœ গণতন্ত্রের মানস কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালি করতে জন্মভূমির টানে স্থায়ীভাবে দেশে এসেও কাজ করছি। কিন্তু জেলা কমিটিতে কৌশলে আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন এই কমিটিতে দলের কেউ নয় এমনও অনেক আছেন যারা আতœীয়তার সুবাদে ঠাঁই পেয়েছেন।
জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ মফচ্ছিল আলী বলেন দ্রুত সময়ে জেলার নতুন কমিটি অনুমোদন পাওয়ায় নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হয়েছেন। নেতাকর্মীরা এই কমিটিকে স্বাগত জানাচ্ছেন।
জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও সাবেক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান বাবুল বলেন নতুন কমিটি নিয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা নানা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। একপেশে কমিটি নেতাকর্মীদের মধ্যে কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে তা দেখার বিষয়।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নেছার আহমদ বলেন কেন্দ্র প্রেরিত জেলা কমিটির অনুমোদনের কপিটি হাতে এসে পৌঁছেছে। তালিকাতে কিছুটা অসঙ্গতির থাকার কথা উল্লেখ করে বলেন এগুলো ছাপার ত্রুটি। নতুন কমিটি আতœীয় করনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন যারাই কমিটিতে স্থান পেয়েছে তারা দলের সুদিনে দুর্দিনে নিবেদীত ছিলেন। তিনি বলেন আমাদের প্রেরিত তালিকাটিই কেন্দ্র অনুমোদন দিয়েছে। বড় দল তাই ইচ্ছা থাকলেও সকলকে কমিটিতে রাখার কোন সুযোগ নেই।
জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও প্রয়াত সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলীর স্ত্রী সৈয়দা সায়রা মহসীন এমপি বলেন নতুন ওই কমিটিতে দলের অনেক ত্যাগী নেতাকর্মীরা স্থান পায়নি। বরং যারা দেশের বাহিরে আছে কিংবা নিস্ক্রিয় তাদেরকে আতœীয়তার সুবাদে দলে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে।
৭৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটিঃ
প্রকাশিত ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে সভাপতি নেছার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান, সহ-সভাপতি ১১ জন হচ্ছেন মুহিবুর রহমান তরফদার, শাহাব উদ্দিন এমপি, আজমল হোসেন, এডভোকেট ভূপতি রঞ্জন চৌধুরী, মসুদ আহমদ, বেগম হোসনে আরা ওয়াহিদ, আকিল আহমদ, শাহ মোহাম্মদ আলী শাহেদ, আলাউর রহমান চৌধুরী, অপূর্ব কান্তি ধর ও সৈয়দ মফচ্ছিল আলী।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৩ জন হচ্ছেন মো: ফজলুর রহমান, সৈয়দ নওশের আলী খোকন ও কামাল হোসেন। আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট এএসএম আজাদুর রহমান, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অরবিন্দু পোদ্দার বাচ্চু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সজীব হাসান, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আলী হায়দার, দপ্তর সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দেক আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আবদুর রউফ মানিক, বন ও পরিবেশ সম্পাদক এডভোকেট কাঞ্চন দাস গুপ্ত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিরাজ উদ্দিন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দা জহুরা আলাউদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক রশিদ উদ্দিন আহমদ, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবদুর রউফ, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক আবু সুফিয়ান, শ্রম সম্পাদক বাবু রামলাল রাজভর, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মনবীর রায় মঞ্জু, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ ছাব্বির হোসেন খান।
সাংগঠনিক সম্পাদক তিনজন হচ্ছেন রাধাপদ দেব সজল এডভোকেট, অধ্যক্ষ সৈয়দ মনসুরুল হক, অজয় সেন। উপ-দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট নিখিল রঞ্জন দাস, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ জয়নাল আবেদিন কুটি, কোষাধ্যক্ষ পংকজ রায় মুন্না। বাকি ৩৬ জন সদস্য।  এবং জাতীয় কমিটির সদস্য মোঃ ফিরোজ।

কমিটির সদস্যরা হলেন :
আলহাজ্ব আজিজুর রহমান, উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ এমপি, মোঃ ফিরোজ, আব্দুল ওয়াহিদ, সৈয়দা সায়রা মহসীন এমপি, এম এ মতিন এমপি, অধ্যাপক রফিকুর রহমান, রফিকুল ইসলাম রেনু, আহবাব আহমেদ চৌধুরী, মিছবাদৌজা ভেলাই, আকছির খান, মিলন বখত, বদরুল হোসেন, শফিক আহমদ, প্রণয় কুমার দে, এম মোছাদ্দেক আহমদ মানিক, আব্দুল বাছিত তরফদার, রণধীর কুমার দেব, অর্ধেন্দু কুমার দেব বেভুল, মোঃ আব্দুর রহিম, সাইফুর রহমান বাবুল, নাহিদ আহমদ, চিন্ময় ধর, মো. আক্তারুজ্জামান, সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন, প্রাণ গোপাল রায়, নাজিম উদ্দিন আহমদ, মাহমুদুর রহমান, আনকার আহমদ, এম এমদাদুল হক মিন্টু, আকবর আলী, রেজিয়া রহমান, শামসুন নাহার খান, কুতুব উদ্দিন আহমদ, এম গোলাম মোস্তফা ও আপ্পান আলী।

 

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

১টি মন্তব্য “জেলা আওয়ামীলীগের ৭৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পক্ষে বিপক্ষে মন্তব্য”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com