তুমি থাকবে চিরকাল চির অম্লান হয়ে মানুষের হৃদয়ে

September 17, 2016,

মকিস মনসুর॥ সৈয়দ মহসীন আলী ছিলেন মৌলভীবাজার জেলাবাসীর  এক  মহান নেতা। তিনি  ছিলেন গরীব দুঃখী মেহনতী  মানুষের আস্তা ও ভরসার শেয ঠিকানা।  ছিলেন জনপ্রিয় পৌরপিতা, সাবেক সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যান মন্ত্রী। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন অকুতোভয় সৈনিক বীর মুক্তিযুদ্ধা হিসাবে তিনি আমাদেরকে এনে দিয়েছেন একটি পতাকা, একটি দেশ।  তাঁর সততা নীতি, আদর্শ দেশাত্ববোধ ও মানুষের  প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা, মৌলভীবাজার জেলার  রাজনৈতিক, শিক্ষা,  খেলাধুলা, সামাজিক সাংস্কৃতিক মহল,  সমাজসেবা সহ  সর্বক্ষেত্রে তাঁর অনন্য অবদানের কথা দলমত নির্বিশেষে মৌলভীবাজার জেলাবাসী  শ্রদ্ধার সাথে মনে রাখবে।
আজ  আমাদের এই নেতার ১ম মৃতুবাষিকীতে আমার স্মৃতিচারনমূলক কিছু কথা তুলে ধরছি।  আমি যখন  মৌলভীবাজার পৌরসভা স্কুলের  ১৯৮৪ /১৯৮৫ সালে ক্লাস নাইনের ছাত্র ছিলাম তখন থেকেই  ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসাবে বিভিন্ন সময় সভা আর মিছিলে যেতাম।
নতুন হওয়ায় মৌলভীবাজার পৌরসভা স্কুলে  তখন ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ  ছিলো।   তবে আমরা কজন স্কুলের বাহিরে খুব এক্টিভলি ছাত্রলীগের মিছিলে যোগ দিতাম।   আমাদের পারিবারিক কারনে তথা মৌলভীবাজার  ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন আমাদের গ্রামের আমার দাদা মোহাম্মদ ফিরুজ ও জেলা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের আজকের সেক্রেটারি আমার চাচা আলহাজ্ব আনকার আহমদ, এমনকি  আমাদের পরিবারপরিজন সবাই আওয়ামীলীগার ছিলেন।  সেই সুবাদে হয়তবা রাজনীতিতে আমার  ছোটবেলা থেকেই পথচলা ছিলো।  ১০ম শ্রেণীর ছাত্র থাকাকালীন সময়েই আমি   ছাত্রলীগের স্কুল কমিটি ও একাটুনা ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি ছিলাম।   এসএসসি পাশ করার পর পরই   ১৯৮৬ সালে  মৌলভীবাজার  ছাত্রলীগ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ ফিরুজ ভাই লন্ডন থেকে বাংলাদেশে গেলেন তিনি বাকশাল করার জন্য আমাদের এলাকার সবাইকে নিয়ে উনার বাড়ীতে একটি মিটিং করলেন আমাদের সাথের অনেক সহ বিপুল সংখ্যক লোক বাকশালে যোগ দিলেন। আমি কিন্তু প্রথম মিটিং উনার বাড়ীতে  যাইনি।  পরে  মোহাম্মদ ফিরুজ ভাই একদিন মৌলভীবাজার  ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি ও তথকালীন জেলা  বাকশালের সভাপতি এন আই আজিজুল হক ইকবাল ভাই ও  জেলা  বাকশালের সম্পাদক নজরুল ইসলাম বেগ  ভাইকে  সাথে নিয়ে আমার বাড়ীতে হাজির হলেন। অনেক সময়  উনারা বাকশালের  নীতি আদর্শ ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন  সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে হলে বাকশালের বিকল্প নেই বলে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরলেন। তাদের যুক্তি ও পিড়াপীড়িতে  শেষমেষ আমি রাজি হওয়ায় মোহাম্মদ ফিরুজ ভাই এক সপ্তাহ পর আমাকে ঢাকা শহরে নিয়ে গেলেন  নবাবপুর রোডের বাকশাল কেন্দ্রীয়  অফিসে।  বাকশাল কেন্দ্রীয় সভাপতি মহিউদ্দিন আহমদ ও সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক ভাইয়ের রুমে নিয়ে গেলেন আমাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন আর বললেন ও আমার নাতি, ওকে ধরে এনেছি। তখন রাজ্জাক ভাইয়ের রুমে ছিলেন  মুকল বোস ও নুরুল ফজল বুলবুল। উনাদেরকে আমার সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো। দেখলাম  ফিরুজ ভাইকে সবাই খুব  সম্মান করলেন। উনার সুবাদে বিরিয়ানি এনে আপ্পায়ন করানো  হলো। বুলবুল ভাই জাতীয় ছাত্রলীগ ও  বাকশাল নিয়ে অনেক সময় আলাপ করলেন।  উনার বক্তব্য শুনে ও রাজ্জাক ভাইয়ের  আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম।  বুলবুল ভাই জাতীয় ছাত্রলীগের  ফরম দিলেন আমি মেম্বার হলাম আর তিনি আমাকে মেম্বারশীপ রিসিটবুক,  দলীয়  গঠনতন্ত্র  কিছু বই পুস্তক ও লিফলেট হাতে তুলে দিলেন। পরদিন রাজ্জাক ভাইয়ের ঝিগাতলার বাসায় ফিরুজ ভাইকে দাওয়াত দিলেন এবং বললেন নাতিকে নিয়ে আসিস। বাসায় গেলাম খাওয়া দাওয়া হলো। ভাবীর সাথে ও পরিচয় হলো। এখানে উল্লেখ্য যে ফিরুজ ভাইয়ের কারনেই রাজ্জাক ভাই আমাকে নাতি বলে ডাকতেন। উনি বেচে থাকাঅবধি আমাদের আত্মার আত্বীয়তা অটুট ছিলো। রাজ্জাক ভাই এর কারনেই আমি ১৯৯০ সালে জাতীয় ছাত্রলীগ এর  কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজসেবা সম্পাদক নিবাচিত  হয়েছিলাম। সেইসময় আমি মৌলভীবাজার জেলার জেনারেল সেক্রেটারিও ছিলাম ।   ১৯৮৬ সালে ঢাকা থেকে এসে জাতীয় ছাত্রলীগ এর জন্য কাজ শুরু করতে লাগলাম। এখানে বলে রাখা দরকার ফিরুজ ভাইর বাড়ীতে যে বা যারা বাকশালে যোগ দিয়েছিলেন তাদের আনেকেই আবার আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ বা জাসদ ছাত্রলীগে চলে গিয়েছিলেন।  আমি কিন্তু নীতি আদর্শ আর আমার  কমিটমেন্ট এর জন্য ১৯৯১ সাল পর্যন্ত  আওয়ামীলীগ – বাকশাল একিভূত হওয়ার আগে অনেক অফার পেয়ে ও  বিশেষ করে ১৯৮৯সালে ছাত্রলীগ থেকে  কলেজের  জিএস  অফার পেয়েও বাকশাল ছেড়ে যাইনি।  যাক, এসব নিয়ে অন্য কোন লেখায় বলা যাবে।
আজ মূল প্রসংগে চলে আসি। আমি জাতীয় ছাত্রলীগের জন্য কাজ করছি এসংবাদ পেয়ে যে কজন আমাকে নিষেধ করেছিলেন। তাদের মাঝে ছিলেন আনকার চাচা,  জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সম্পাদক আবদুল ওয়াদ, ছাত্রলীগ নেতা আজকের  উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মসুদ আহমদ ও  সেইসময়কার কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি  আজকের ইউকে আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী,  আমাদের সবার প্রিয় নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ ও সৈয়দ মহসীন আলী।  এখনো মহসীন ভাইয়ের কথা কানে শুনতে পাই। সেদিন আমাদের গ্রামের আকলিস মিয়ার  (আমার দাদা) সিউলী বিপনীতে মহসীন ভাইয়ের সাথে দেখা, সালাম করতেই  তিনি বলে ফেললেন  তুমি ফিরুজ ভাইয়ের কথায় বাকশালে কেনো গেছো,  তুমার মতো ডেডিকেটেড কর্মী ছাত্রলীগ করা উচিৎ। আমি উনাকে যুক্তি দেখাতে রাজ্জাক ভাইয়ের কথা বলতে গেলেই তিনি বললেন রাজ্জাক ভাই আমাদের নেতা।  কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে রাজনীতি হবে না।  তুমি ভূল করছো  একদিন এর মাশুল দিবে।  ১৯৯১ সালে  যখন আওয়ামীলীগ  আর বাকশাল একিভূত হয় তখন মৌলভীবাজার  জাহাংগীর কমিউনিটি সেন্টারে  একিভুত হওয়া উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে  মহসীন ভাই আমার নাম উল্লেখ করে বলেছিলেন কি নেতা আমার কথা সঠিক হয়েছেতো? তুমি যদি আমার আর আনকার এর কথা শুনতে এবং  তুমার প্রতিভা আর এত  শ্রম ছাত্রলীগে দিতে তাহলে তুমিই লাভবান হতে। যাই হোক আমি বাকশাল করলেও মহসীন ভাইয়ের সাথে সবসময় ছিলো ভালো সম্পর্ক। দেশে থাকা অবস্থায় উনার পৌরসভা নির্বাচনে একজন কর্মী হিসাবে সব সময় উনার পক্ষে কাজ করেছি।  এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে আমাদের ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ ও ছাত্রঐক্য পরিষদ এবং ৮ দলীয়,  ১৫ দলীয়, ও ২২ দলীয় ঐক্য জোট  তথা  ৯০ এর গনআন্দোলনে  পুলিশী  হয়রানী ও বিভিন্ন প্রয়োজনে মহসীন ভাই যে অবদান ও  সার্বিক  সহযোগীতা করতেন তা ভূলার নয়। দেশে থাকাকালে মহসীন ভাইয়ের বিভিন্ন নিবা’চনী সভায় ছাত্রলীগ থেকে কখনও  মসুদ ভাই কখনও টুটুল ভাই আর জাতীয় ছাত্রলীগ থেকে প্রতিটি সমাবেশে আমাকে বক্তব্য দিতে  হতো।  পরে জানতে পারলাম মহসীন ভাইয়ের  নির্দেশে সব সভায় আমাকে এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে।   কারণ হিসাবে জানতে পারলাম  তিনি  আমার গঠনমূলক বক্তব্য পছন্দ করতেন।  নির্বাচনে বিজয়ের পর তিনিই একথা আমাকে পৌরসভা অফিসে একদিন বললেন।  সিলেটবিভাগ বাস্তবায়ন আন্দোলনে শহীদ জননী জাহানারা ঈমামের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের  চেতনা বাস্তবায়ন ও ৭১এর ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির আন্দোলনে ও এরশাদ বিরোধী আন্দোলনসহ জেলার বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সাংবাদিকতা ও নানা সমাজকর্মে  খুব কাছ থেকে মহসীন ভাইকে দেখেছি। তিনি প্রতিটি আন্দোলনে ও কর্মকান্ডে  আমাদেরকে  নেতৃত্বে  ও দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। যার ভালো কাজ দেখে আমার মতো অনেকেই তাকে অনুসরণ ও অনুকরন করেছেন। তার অবদান আমরা তথা মৌলভীবাজারবাসী আজীবন মনে রাখবো। সৈয়দ মহসিন আলী ছিলেন এক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী। এ নেতা দেশ ও দেশের মানুষকে অনেক দিয়েছেন, কিন্তু নেননি কিছুই,  সে কারনে এলাকার জনগন  তাকে ‘হাজি মুহাম্মদ মহসীন’ এর সাথে তুলনা করেন। কেননা এমন লোক নেই যে মহসীন আলীর কাছে গিয়েছেন আর খালি হাতে এসেছেন। অনেক  সময়  নিজের পকেটের সব শেষ হয়ে গেলে কাছে যে থাকতেন তার কাছ থেকে নিয়েও জনগনকে সাহায্য করতে দেখেছি।  এরকম কয়েকবার আমিও উনার কবলে পড়েছিলাম। আসলে কত মহান ও মহত্ত্বময় হলে একজন লোক মানুষকে এতো ভালেবাসতে পারেন। বাবার রেখে যাওয়া সম্পতি বিক্রি করে কে এমন মানবদরদী হয়ে মানুষ এর জন্য কাজ করে। তাহা শুধু মহসীন আলীর মত মানুষ এর দ্বারাই সম্ভব। আমি মৌলভীবাজার কলেজ থেকে বিকম পাশ করার পর ঢাকায় ইউনিভার্সিটিতে মাষ্টার্সে ভর্তি হওয়ার জন্য যাচ্ছি এরকম কথা উনাকে  বলতে গেলে,  উনি  বললেন  মাষ্টার্সে  ভর্তি হবে ভালো কথা।  যেহেতু রাজনীতি করছো তাহলে আমার উপদেশ ল’কলেজেও ভতি  হয়ে যাবে। যদি উকিল হয়ে যাও তাহলে রাজনীতিতে ভালো করতে পারবে।  উনার কথা মতো ল’কলেজেও  ভর্তি হয়েছিলাম। ঘন ঘন ঢাকায় আসা যাওয়ার কারনে প্রায় সময়ই মধুর কেন্টিনে ও পাটি অফিসে এমনকি ঢাকার অনেক মিটিং মিছিলে আমি উপস্থিত হতাম। একদিন আমাদের নেতা আব্দুর রাজ্জাক ভাইয়ের বাসায় সন্ধায় গেলাম।  অনেক নেতাকর্মীর ভিড়ের মাঝে আমাকে বললেন  এই মৌলভীবাজারী নাতি তুমি বসো কথা আছে। একে একে সবাই চলে গেলেন আমি আর জাতীয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ডা: জাহাংগীর সাত্তার টিংকু ভাই বসে  আছি। নেতা বললেন তুমরা ভিতরে খাবার টেবিলে এসো। খাওয়ার টেবিলেই আব্দুর রাজ্জাক বললেন এই তুমি কি লাইফ ইন্সুরেনস এ কাজ করতে পারবে কালকেই নাশন্যাল লাইফ ইন্সুরেন্স এর অফিসে যাবে এমডি আমার খুব ঘনিষ্ট।  আমি ফোন করে বলবো। টিংকু ভাই সাদা কার চালাতেন তিনি আমাকে এম এ  রহিম ভাই ( আমার মামাতো ভাই ) এর বাসায় নামিয়ে দিয়ে বললেন কাল মধুর কেন্টিনে চলে আসিস। আমি তোকে লাইফ ইন্সুরেন্স অফিসে নিয়ে যাবো। পরদিন ১২টায় কেন্টিনে গেলাম। জাতীয় ছাত্রলীগের মিছিলের পর টিংকু ভাই নিয়ে গেলেন। অফিসে গিয়ে কিছুক্ষণ বসার পর  নাম বলতেই ভিতরে যাওয়ার  অনুমতি পেলাম। টিংকু ভাইকে এম ডি রেজাউল হাকিম সাহেবও চিনতেন।  আমাকে পরিচয়  করিয়ে দেওয়ার পর এমডি বললেন আব্দুর রাজ্জাক সাহেব ফোন করেছেন। আপনি যদি কাজ করতে চান তাহলে সিলেটে অফিস করার দায়িত্ব দেওয়া হবে। আমাদের  টিম আপনাকে সাথে নিয়ে কাজ করবে।  যেমন কথা তেমন কাজ  আমি বললাম রাজি। সেলস ম্যানেজার হিসাবে ফরম পুরন করিয়ে একটি কোড নম্বর দিয়ে দেওয়া হলো।   দুমাসের মাথায় মৌলভীবাজার অফিস করার লক্ষ্যে কাজ শুরু  করলাম। আবার গেলাম  মহসীন ভাইয়ের দরবারে,  সব বললাম,  সহযোগীতা চাইলাম   বেরীর পাড়ে  দুতলায় বিরাট অফিস ভাড়া নিলাম । আমার কথা রাখতে গিয়ে উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে মহসীন ভাই শুধু সভাপতিত্বও  করেননি,  ঢাকা থেকে আসা ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চেয়ারম্যান সাহেবকে উনার বাসায় দাওয়াত খাওয়ানোসহ  অতিথিবৃন্দকে লাল গালিছা সংবধনা দেওয়ার জন্য উনার বাসার সব কটি ফুলের টপ দিয়েছিলেন। উদ্ভোধনী অনুষ্টানে মহসীন ভাই  আমাকে নিয়ে প্রসংশনীয় বক্তব্য দেওয়ায় ঢাকা থেকে  আসা সব অফিসারদের নিকট আমার সমাদর বেড়ে গিয়েছিলো। যার ফলস্রুতিতে কাজের মাধ্যমে ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে আমি অল্পসময়ের ভিতরেই  লন্ডন আসার আগে ডিভিশনাল ম্যানেজার দায়িত্ব পালন করে আসতে পেরেছি।  কত বড় মনের লোক হলে আমার মত একজনকে নিয়ে এমন বক্তব্য দিতে পারেন। নেতা আপনার প্রতি আমি চীর কৃতজ্ঞ।
১৯৯২ সালে আমার চাচা লন্ডন থেকে, বাংলাদেশে গেলেন আমার বিয়ের জন্য, উনাকে দাওয়াত দিতে গেলাম । তিনি ধমক দিয়ে বললেন আমি জানি তুমি কেনো এসেছো। তুমাকে নিয়ে অনেক সপ্ন ও আশা ছিলো । জেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি  হওয়র যোগ্যতা রাখো,  অথচ বিয়ে করে লন্ডন চলে যেতে চাও। আমাদের এলাকার প্রবাসী কিছু নেতাদের নাম উল্লেখ করে বললেন ওদের মতো তুমিও  বিদেশ  চলে যাবে। এটা কোনো অবস্থায় মেনে নেওয়া যায় না। আমি তুমার বিয়েতে যাবো না। তুমার ভাবী ও সলমান পারলে যাবে।  (সৈয়দ সলমান আলী, উনার ছোট ভাই আমার বন্ধু।)  আমি মনে মনে বড় হতাশ হলাম। তিনটি স্টেইজে মিলে  বিয়ের দিন আমার বাড়ীতে  প্রায়  দুহাজার লোকের সমাগম হয়েছিলো।   বিকাল ৩টায়  দেখি নেতা  হাজির। ভিআইপিদের টেবিলে না বসে সোজা চলে গেলেন আমার স্টেইজে। আনকার চাচাকে বললেন আমি  দামান্দের সাথে সাগর আনা খেতে চাই। কত কর্মীবান্ধব নেতা হলে প্লেইট হাতে নিয়ে আমাদের বন্ধুদের সাথে বসে  আহসান, আলকাস, সায়েদ, আম্বিয়া, সায়েক, আসাদ, মোশাহিদ প্রমুখদের সাথে নিয়ে একসাথে খেলেন আর জমে আডডা দিলেন। এ শুধু মহসীন আলীর মত নেতার পক্ষে সম্ভব। আজকাল এরকম নেতা দলে ও দেশে কজন পাওয়া যাবে?
১৯৯৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে  আমি লন্ডন আসার সময় আমার নিজ এলাকার ক্লাব,   জেলা ছাত্রলীগ, প্রজন্ম ৯০, বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ,  ইন্সুরেনস অফিস ঢাকা সিলেট মৌলভীবাজার সহ ১৬ টি বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্টানের মধ্যে মহসীন ভাই ২টিতে  উপস্থিত থেকে  অনেকের মত আবেগময় ও উপদেশমৃলক বক্তব্য দিয়েছিলেন  যাহা প্রবাস জীবনে আমার অনেক উপকারে এসেছে।  বৃটেনে এসে পারিবারিক কারনে আমার আবাস আর ঠিকানা হলো ওয়েলসের রাজধানী কাডিফ শহরে।   এখানে এসেও মহসীন ভাইসহ দেশের সবার সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ ছিলো।   দীর্ঘ সাত বছর পর ২০০০ সালে দেশের মাটিতে পা রাখলাম। দেখুন মনের মিল থাকলে কিভাবে দেখা হয়ে যায়। আমি  সপরিবারে  লাইটেসে বাড়ীতে যাচ্ছি। একাটুনা বাজার থেকে আমার বাড়ী মধখানে এই সময় বিপরীত দিক থেকে মহসীন ভাইয়ের জিপ দেখে হাত তোলা  দিতেই  গাড়ি থামলো।  নেমেই  বললেন  কিরে শেষমেষ তুমি এসেছো। বুক মিলালেন আর বললেন জগতপুর একটি বিচার থেকে আসছেন। উনার সাথে  রাজনগরের মোতালিব চেয়ারম্যান, কচুয়ার আমার দুরুদ চাচা ছিলেন।   ২০০০ সালে আমি  ৭ মাস  দেশে থাকা অবস্থায়  প্রায় ২৩টি অনুষ্ঠানে উনার সাথে যোগ দিয়েছি।  গ্রুপিং রাজনীতিতে উনার সাথে অন্যদের দ্বন্দ ছিলো প্রকট।   উল্লেখযোগ্য হলো  গনভবনে  মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের  সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতবিনিময়।  এখানে আমি থাকার কথা ছিলো না। মহসীন ভাই ও জেলা  আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি  জননেতা আব্দুল ওয়াদুদ ভাইয়ের  আন্তরিকতায় এই সুযোগ পেয়েছি  এজন্য  আমি চীর ঋনী। এদিকে ২০০০ সালে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে আমার নাম যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের তালিকায় কাউন্সিলার হিসাবে ছিলো তারপরও মহসীন ভাইয়ের  এক কথা লন্ডনী মকিস আমাদের সাথে যাবে। এজন্য  মৌলভীবাজারের তালিকায় ও ডেলিগেট হিসাবে আমার নাম উনারা দিয়েছেন ।  এতো  আন্তরিকতা ও ভালোবাসার ঋন কি করে ভূলবো।   সবচেয়ে আমার জন্য আরেকটি চমক দেখালেন যাহা আমি আশা করিনি।  গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইউকের আমি জয়েন্ট সেক্রেটারি ও ওয়েলসের সেক্রেটারি ছিলাম। মহসীন ভাই ছিলেন গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইউকের মৌলভীবাজার জেলার চেয়ারপার্সন,  ডাঃ ছাদিক আহমদ ছিলেন সেক্রেটারি ।  এই সংগঠনের পক্ষ থেকে আমার জন্য উনার বাড়ীতেই সংবর্ধনার আয়োজন করা হলো। করা হলো রকমারী খাবারের আয়োজন। অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখি জেলা প্রশাসক জি কে নুরুল আমিন,  এস পি শহীদুল  ইসলাম, কলেজের প্রিন্সিপাল মুহিবুর রহমান, মুজিবুর রহমান মুজিব এডভোকেট, মির্জা ফরিদ আহমদ বেগসহ অনেক  বিশিষ্টজনদের আগমন। আমার জন্য এই আয়োজন, আমার জীবনে চরম পাওয়া।
২০০৯ সালে আমি আবার দেশে গেলাম উনার বড় মেয়ের বিয়ের ৪দিন আগে উনি আনকার চাচার কাছ থেকে খবর পেয়েই সৈয়দ খোকন ভাইকে দিয়ে বাড়ীতে কার্ড পাঠালেন। আবার  ফোন করেও  বললেন।  বিয়েতে কয়েক হাজার লোকের সমাগম হয়েছিলো। বিয়ের আসরে এত ঝামেলার মাঝেও  আমাকে ডেকে নিয়ে উনার বেয়াই ও বরের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন।  কি দরকার ছিলো। আমার মত একজনকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার। এই বিয়েতে লন্ডন প্রবাসী নেতা ইকবাল চৌধুরী সব কিছুতেই  মহসীন ভাইকে সহযোগিতা করতে দেখা গেছে। আমাদের নেতা সুলতান মনসুর আহমদের সাথে পার্টিতে বসে অনেকক্ষন বিলাতের রাজনৈতিক বিষয়ে আলাপ হলো। প্রবাসীদের  বার বার অনুরোধ সত্ত্বে এম পি মহসীন আলী তার জীবনে একবার বৃটেন আসেন। আমরা উনাকে নিয়ে অনেক অনুষ্ঠান করেছি।  গ্রেটার সিলেট কাউন্সিলের অনুষ্টানে যাতে তিনি না আসেন  যে দুজন লবিং করেছিলেন তিনি তাদেরকে বললেন  মকিসের অনুষ্ঠানে যেতেই হবে। কার্ডিফে বেড়ানোর সময় সোয়ানসী আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুর রকীব বললেন মকিস ভাই,  শাহ্ জালাল ফুডগ্রোসারীতে   যাবো  কিছু বাজার করতে হবে। নেতা  বললেন কাটাল খেতে। আমি বললাম দোকানের মূল মালিক হচ্ছে আপনার সাবেক ছাত্রনেতা শিপু। দোকানে উনাকে নিয়ে গেলাম। শিপু এবং আমার ছোট ভাই মতব্বির বড় ১টি কাটাল নেতার জন্য দিয়েছিলো।  রকীব ভাইয়ের সামনেই  এক আলাপচারিতায়  বললাম মহসীন ভাই,   এমপি হওয়ার আগে পৌরসভা চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় প্রশাসনিক ও সামাজিকভাবে  আপনি  খুব শক্তিশালী ছিলেন।   এম পি  হওয়ার পরও তখনকার মতো অবস্থান ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে  না কেনো।   এনিয়ে  উনি খুব দূ:খ  প্রকাশ করে  দলীয় গ্রুপিং সহ নানা বিষয়ে খোলামেলা  কথা  বলতে গিয়ে বললেন  চিন্তা করোনা মহসীনকে কোনো চক্রান্ত আটকাতে পারবে না।  তোমরাতো জানো কোন প্রলোভন আমাকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি।  অনেকই বড় বড় নেতা নীতি ও আদর্শ বিসর্জন দিয়ে বাজারের পন্যের মতো বিক্রি হয়েছেন। আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে ছিলাম আছি এবং থাকবো। কি পেলাম কি পেলাম না  জনগনের জন্য আজীবন আমি কাজ করে যাবো। আর আমাকে বললেন মিঃ সাংবাদিক একদিন দেখবে মহসীন চমক দেখাবেই।  কি চমক  দেখাবেন তাহা কিন্তু বলেননি। সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করায় ও জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অবিচল আস্আ থাকায় শেষমেষ তিনি সমাজকল্লান মন্ত্রী হয়ে সত্যিকারভাবে মৌলভীবাজার বাসীকে চমক দেখালেন।  আওয়ামীলীগের ইতিহাসে প্রথম মন্ত্রী হয়ে তিনি আমাদের মূখ উজ্জ্বল করেছেন।
এখানে উল্লেখ্য যে,  বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মহসিন আলী মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে গুলিবিদ্ধ হন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি সিলেট অঞ্চলের সিএনসি স্পেশাল ব্যাচের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অবদান রেখেছেন যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশ গঠনেও।   তৎকালীন মৌলভীবাজার মুহকুমার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে  সাধারণ সম্পাদক, মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগের সভাপতি,  মৌলভীবাজার পৌরসভায় পরপর ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ছিলেন  মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি। সিলেট বিভাগ বাস্তবায়ন কমিটির ও ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির কনভেনারসহ জেলার  কবিতা উৎসব. রবীন্দ্র নজরুল জয়ন্তি উৎসব,   রাধা রমণ উৎসব. শিল্পকলা একাডেমী,  খেলাধুলা সহ  বিভিন্ন সংগঠনের  পৃষ্ঠপোষক হিসাবে  তিনি যে অবদান রেখেছেন  তাহা জেলাবাসী কোনদিন ভূলবে না।
বাংলাদেশে না যাওয়ার কারনে  মন্ত্রী হওয়ার পর উনার সাথে আমার আর দেখা হয়নি। শুধু ৪/৫দিন ফোনে আলাপ হয়েছে মন্ত্রী হওয়ার পর অভিনন্দন জানাতে।  ঊনার সিগারেট খাওয়ার নিউজ দেথার পর ও সিলেটে সাংবাদিকদেরকে নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার পর এবং বৃটেনের  বার্মিংহামের  বাংলামেলায় উনার আগমন প্রসঙ্গ নিয়ে।  এই ৪ দিন আমি উনাকে ফোন করে অনেক বিষয়ে আলাপ করি। আর উনার মেঝো মেয়ে সৈয়দা সানজিদা সারমিন এর  বিয়ের দাওয়াত দিতে তিনি নিজেই ফোন করে বললেন একটি মেসেইজ তোমার ফোনে দিচ্ছি। অনেকের নাম উল্লেখ করেন এবং বলেন  উনার দেওয়া  দাওয়াতের  মেসেইজটি সবাইকে পাঠাতে এবং উনার পক্ষ থেকে ফোনে দাওয়াত দেওয়ার জন্য। তারপর অনেকদিন নানা বিষয়ে ও উনার অসুস্থতাজনিত খবরা খবর  নিতে  সৈয়দা সানজিদা  সারমিন ও উনার পি এস ভাতিজা সাইফুল খাঁনের সাথে আমার আলাপ হয়েছে কিন্তু নেতার সাথে আর আলাপ হয়নি।  অসুস্থতাজনিত রুগ মুক্তি কামনা করে মসজিদে দোয়া করিয়েছি।
নেতা মারা গেছেন এই সংবাদ প্রথম আমাকে বার্মিংহামের সাংবাদিক জয়নাল ইসলাম জানালে  সাথে সাথেই শাহ্জালাল  মসজিদে  উনার জন্য দোয়া করালাম এবং  আমার অনলাইন  দৈনিক মৌলভীবাজার ডট কম,   ডেইলি সিলেট ডট কম,  সাপ্তাহিক মৌমাছি কন্ঠ.   বাংলা টিভি এবং  ফেইসবুকে নিউজ করলাম। একে অন্যের সাথে ফোনে যোগাযোগে  উনার সৃতিচারন করে অনেকেই কেঁদেছেন।
মহসীন ভাইয়ের শোক সংবাদ বিষয়ে  প্রায় তিন শতাধিক ফোন কল আমি নিজেই রিসিভ করেছি।  এতেই প্রমাণিত হয় মহসীন ভাইকে মানুষ কত ভালোবাসতেন। সারারাত ঘুমাতে পারিনি  দুবার বিছানা থেকে উঠলাম। নীচে লেখার টেবিলে এসে  লেপটপ অন করলাম মনের অজান্তেই নেতার জন্য একটি কবিতা লিখলাম।  কবিতাটি  পরবর্তীতে  ২১ টি পত্রিকায়  চাপিয়েছে। বৃটেনে বসবাসরত বিশিষ্ট সাহিত্যক বুদ্ধিজীবী কলামিস্ট   একুশের গানের রচয়িতা আবদুল গাফফার চৌধুরী, সাংবাদিক ও লেখক ইসহাক কাজলসহ অনেকেই ভালো হয়েছে বলে অভিমত প্রকাশ করেন। এই কবিতাটি আমি সহ অনেকেই মহসীন ভাইয়ের জন্য আয়োজিত শোক সভায় আবৃত্তিও করেছেন।  বৃটেনের  মৌলভীবাজার জেলাবাসীসহ  বিভিন্ন  সংগঠনের  পক্ষ থেকে  লন্ডন  বার্মিংহাম  কাডিফ সোয়ানসী নিউপোটসহ  বিভিন্ন শহরে যেসব দোয়া শিন্নী বিতরন ও  শোক সভা হয়েছে  ৯টি শোক সভায়  আমি নিজে উপস্থিত থেকে স্মৃতিচারনমূলক বক্তব্য দিয়েছি।    আমার জানামতে  বাংলাদেশের কোনো নেতার জন্য প্রবাসের বিভিন্ন দেশে এরকম  শোকসভা ও দোয়া হয়নি।  বৃটেনের প্রতিটি শোক সভায়  আমি সহ আমরা অনেকেই  বক্তব্যের মাধমে মহসীন ভাইয়ের পরিবারকে  রাজনৈতিকভাবে টিকে রাখতে হলে  এবং  মহসীন ভক্ত, অনুরাগীদের ও এলাকার জনগনের  কথা বিবেচনা করে উনার   পতœী সৈয়দা সায়রা মহসীন অথবা উনার মেঝো মেয়ে সৈয়দা সানজিদা শারমীনকে এমপি হিসাবে নমিনেশন দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামীলীগের প্রতি অনুরুধ জানিয়েছিলাম।   সেইসব বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজ এখনোও ইউটিউভে ও ফেইসবুকের মেমোরীতে  রয়েছে।   প্রথমে এই দাবী তোলায় অনেকেই পিছনে পিছনে আমার  সমালোচনা করেছিলেন। এমনকি মৌলভীবাজার থেকে  কয়েকজন আমাকে ফোন করে এবং  নিউজ দেখে ফেইসবুকের ইনবক্সে সমালোচনা করেছেন। তবে  মৌলভীবাজার ও রাজনগর এলাকার  বেশিরভাগ লোকই  আমাদের দাবীর পক্ষে ছিলেন।  যাই হউক সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ও আন্তরিকতার কারনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনতার দাবীর পক্ষে  সৈয়দা সায়রা মহসীনকে  নমিনেশন দিয়ে এমপি বানান।   এ খবরে     শুধু প্রবাসীরা নয় সমগ্র  মৌলভীবাজার ও রাজনগর এলাকার  জনগন আনন্দিত হয়েছিলেন। আজকের মহসীন আলীর পিছনে যে মহিলাটি আজীবন নিজের   শ্রম-মেধা, সুখ- দুঃখ, হাসি- কান্না ও  কর্মের মাধমে  ছায়ার মত  দাঁড়িয়েছিলেন তিনি  স্বামীর অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করার লক্ষ্যে তথা এলাকার জনগনের উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভৃমিকা রাখবেন  নেতার ১ম মৃতুবাষিকীতে আমার  এই কামনা রহিলো।
আপনার দিনের পথচলায় অতীতের মত আমার এবং  আমাদের সহযোগীতা সব সময় অব্যাবহত থাকবে। পরিশেষে নেতার উদ্দেশ্যে বলতে চাই, তুমি থাকবে চিরকাল চির অম্লান হয়ে। মৌলভীবাজার জেলা বাসীর মানুষের হৃদয়ে। তোমাকে লাল সালাম। জয় বাংলা।  (লেখক পরিচিতি :- মকিস মনসুর আহমদ,  কচুয়া হাউস, কার্ডিফ ইউকে, এককালীন মৌলভীবাজার জেলার সামাজিক সাংস্কৃতিক ও ছাত্রসংগঠক ছিলেন,  বর্তমানে  বৃটেনের বাংলাদেশ কমিউনিটি সংগঠক ও সাংবাদিকতার সাথে জড়িত রয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com