মৌলভীবাজারে মামলা আছে ৫ জনের উপর ও ব্যাংক ঋণে জর্জরিত ৩ প্রার্থী

December 11, 2018,

হোসাইন আহমদ॥ মৌলভীবাজারের ৪টি আসনে আ’লীগ ও বিএনপিসহ অন্যান্য দলের ১৯ জন প্রার্থী চুড়ান্ত হয়েছেন। সোমবার জেলা রিটার্নিং অফিসার ওই সকল প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীকও বরাদ্দ করেন। প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে প্রার্থীরা এখন সক্রিয়। জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে প্রার্থীদের জমা দেয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে ১৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫ জনের উপর রয়েছে একাধিক মামলা এবং ৩ জন প্রার্থী ব্যাংক ঋণে জর্জরিত।

প্রার্থীদের হলফনামা থেকে জানা যায়, মৌলভীবাজার-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী নাসির উদ্দিন আহমেদ এস আহমেদ কোঃ লিঃ এর নামে অগ্রণী ব্যাংক থেকে ১১ কোটি ১৮ লক্ষ এবং তাহমিদ ফাউন্ডেশন লিঃ এর নামে ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ৫ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা ঋণ তুলেছেন। মৌলভীবাজার-২ আসনে বিকল্প ধারা থেকে নৌকার প্রার্থী এম এম শাহীনের উপর দায়েরকৃত ২টি ফৌজদারী মামলা আদালতে বিচারাধীন। মৌলভীবাজার-৩ আসনে বাসদের প্রার্থী মগনু মিয়া’র উপর ১টি মামলা শুনাটি পর্যায়ে আছে এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংকে তার নামে ১১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার ব্যাংক ঋণ রয়েছে। বিএনপির প্রার্থী নাসের রহমানের উপর ৩টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৭/১৫নং (সদর) মামলায় তিনি জামিনে আছেন এবং হাই কোর্টের নির্দেশে দুদকের জিআর মামলা নং (৩৭/২০০৭) এর কার্যক্রম স্থগিত ও পেনেল কোডের জিআর মামলা নং (১৭৪/২০০৭)টি হাই কোর্ট কর্তৃক পরাস্ত করা হয়েছে। ওই প্রার্থীর ব্যাংক ঋণের মধ্যে আছে ব্র্যাক ব্যাংকে নিজের নামে ৩২ কোটি ৪৬ লক্ষ, স্ত্রীর সাথে যৌথ ব্র্যাক ব্যাংকে ৬৩ কোটি ৫৩ লক্ষ, কোম্পানীর নামে আইএফআইসি ব্যাংকে ৮৭ কোটি ৭৯ লক্ষ ও এবি ব্যাংকে ৬ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা। মৌলভীবাজার-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী মোঃ মুজিবুর রহমান চৌধুরী উপর বর্তমানে আদালতে ১০ মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৫টি বিচারাধীন, ২টি স্থগিত, ২টি দতন্তাধীন এবং ১টির এখনও চার্জশীট হয়নি। এর আগে তিনি ৩টি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। মুজিবুরের ব্যাংক লোনের মধ্যে রয়েছে সাউথইষ্ট ব্যাংকের ঢাকা কর্পোরেট শাখায় সিসি লোন ৩ কোটি ৮৭ লক্ষ ২০ হাজার ২১৭ টাকা, লংকা বাংলা ফাইনান্স থেকে বাড়ির লোন বাবত ৮ লক্ষ ৬৫ হাজার ৮৮৫ টাকা ও বিদেশে অবস্থানরত আত্মীয়দের কাছ থেকে ২২ লক্ষ ৫৮ হাজার ৮’শ ৫৯ টাকা।

প্রার্থীদের ব্যাংক ঋণ নিয়ে জেলার একাধি সচেতন ভোটারের সাথে কথা হলে তারা বলেন, এদের অধিকাংশই প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য। চাইলে তারা ঋন না নিয়েও চলতে পারতেন। কিন্তু ঋণে জর্জরিত হয়ে এখন জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করা অনেকটা কঠিন। সচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার সহিত দায়িত্ব পালন করতে হলে ঋণ মুক্ত থাকা জরুরি।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com