সীমানা নির্ধারনের জন্য কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে শুরু হয়েছে সার্ভে কাজ

October 24, 2017,

কমলগঞ্জ প্র্রতিনিধি॥ কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের সীমানা নির্ধারনে শুরু হয়েছে সার্ভে কাজ। ১৯৯৬ সালে সরকার লাউয়াছড়াকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করার পর বনের সীমানা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় বণ্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এবং কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ১১টায় জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন কমলগঞ্জ হীড বাংলাদেশ অফিসের সম্মুখ থেকে এই সার্ভে কাজ শুরু হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কমলগঞ্জের পশ্চিম ভানুগাছের সংরক্ষিত বনের ১২৫০ হেক্টর এলাকা নিয়ে ১৯৯৬ সালে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়। উদ্যান ঘোষণার পর থেকে সেগুন, আকাশমনি, চাপালিশ সহ মূল্যবান গাছ গাছালি ও বাঁশ চুরি এবং বনের সংরক্ষিত জমি দখল করে লেবু, আনারস ও গাছ বাগান গড়ে উঠছে। ফলে বন ফাঁকা, বণ্যপ্রাণির আবাসস্থল ও খাবার সংকট দেখা দিচ্ছে। তাছাড়া উদ্যানকে ঘিরে অত্যধিক পর্যটকের আগমন সহ বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে সীমানা জটিলতায় পড়ে বণ্যপ্রাণি বিভাগ।

এসব বিষয়কে সামনে রেখে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের সীমানা পূনরুদ্ধারে মৌলভীবাজার বণ্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এবং কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সীমানা নির্ধারনে সার্ভে কাজ শুরু করেছে। সার্ভে কাজে অংশ নিয়েছে কমলগঞ্জ ভূমি অফিস ও শ্রীমঙ্গল ভূমি অফিসের সার্ভেয়াররা।

বণ্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় সহকারী বন কর্মকর্তা মো. তবিবুর রহমান বলেন, উদ্যানের সীমানা নিয়ে কিছু জটিলতা দেখা দেয়ায় ১৯৯৬ সালে উদ্যানে ঘোষণাকালীন সময়ে যে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে মূলত সেটি পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে। তাছাড়া জাতীয় উদ্যানে কিছু লেবু ও আনারস বাগান গড়ে উঠলেও ইতিপূর্বে কিছু জায়গা বন বিভাগ উদ্ধার করেছে। ৮/১০ দিনের মধ্যে সীমানা নির্ধারনের কাজ শেষ হলে একটি জাতীয় উদ্যানের একটি মানচিত্র তৈরী করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর ফলে গবেষক, সাংবাদিক সহ সংশ্লিষ্টদের কাজে আসবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com