হাকালুকি হাওর থেকে প্রতিদিন কোটি টাকার মাছ আহরন : নিয়ন্ত্রন করছে ক্ষমতাসীন দলের সিন্ডিকেট

July 3, 2013,

হাকালুকি হাওর থেকে প্রতিদিন কোটি টাকার মাছ আহরন হচ্ছে। কোটি টাকার এ বানিজ্যে শরিক ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতা থেকে নিয়ে সংশি¬ষ্ট প্রসাশনের কর্মকর্তা। একটি নিবিড় সম্পর্কে টোকেনের মাধ্যমে চলছে বানিজ্যটি। হাকালুকি হাওরে ছোট-বড় ২৩৮টি বিল রয়েছে। বিলগুলো ইজারা দিয়ে সরকার প্রতি বছর রাজস্ব আহরন করেন। এই বর্ষা মৌসুমে হাকালুকির বিস্তীর্ণ জলাভূমিতে নানা প্রজাতির মাছ তাদের বংশ বিস্তার করতে তৎপরতার সময় শিকারীদের পাতা ফাঁদে পড়ে ধরা পড়তে হচ্ছে। মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী-বড়লেখা-কুলাউড়া ও সিলেট জেলার ফেন্সুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ এই ৬টি উপজেলায় সম্পৃক্ত মিঠাপানির বৃহত্তম হাওর হাকালুকি। সংশি¬ষ্ট উপজেলা গুলোর বাসিন্দারা প্রশাসনের আনুকুল্য পেয়ে বানিজ্যের এ সিন্ডিকেট তৈরী করে নির্বিগ্নে তা করে যাচ্ছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, জুড়ী উপজেলার শাহাপুর, জাঙ্গিরাই, নয়াগ্রাম ও খাগটেখা মৌজার শত শত মানুষ হাওরে মাছ শিকারে নিয়োজিত রয়েছে। অনুরুপভাবে অন্য পাঁচ টি উপজেলার শিকারী রয়েছে হাকালুকিতে। এসব শিকারীরা তান্ডব চালাচ্ছে ২৪ ঘন্টাই। ফলে শুধু মাছই নির্বংশ হচ্ছে না ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে হাকালুকির জলজ উদ্ধিদের অস্থিত্ব। হোগা (চাপিলা), ইছা, কেচকি ও তিতপুঁটি শিকারের নামে এসব মৎস্য শিকারী ও সিন্ডিকেট সদস্যরা শিকার করে নিচ্ছে সব ধরনের মাছ। তাদের কাছে যেমন মা মাছ বলে কোন মাছ নেই তেমনি ডিমওয়ালা বলেও বাছ বিচার নেই। তিন শতাধিক বেড় জাল নিয়ে এসব শিকারী ঝাপিয়ে পড়ে হাকালুকিতে। দিবা রাত্র আহরন করে সব ধরনের মাছ। শিকারীরা বিত্তবান শ্রেনীর না হলেও জালের মালিকরা সবাই বিত্তবান। এসব জালের মালিকরা এতই বিত্তবান বিল গুলো ইজারা নেওয়ার সময় তারাই নেন। জালের মালিকরাই মূলত সৃষ্টি করেছে টোকেন সিস্টেমের। টোকেন ছাড়া জাল দিয়ে মাছ ধরে ডাঙ্গায় উঠলেই মাছসহ ধরা পড়ে যেতে হয় উপজেলা মৎস্য অফিসে। সেখানে গিয়ে আর মাছ ধরবে না হাওরে এমন শর্তে মুছলেকা দিয়ে টোকেন নিয়ে পূনরায় অসীম সাহসে শিকারে ঝাপিয়ে পড়ে। গত ১৭ জুন এমন দুজন শিকারী পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জুড়ী উপজেলা মৎস্য অফিসে গিয়ে মুছলেকায় ছাড়া পেয়ে যায়। শিকারী সুত্র জানায়, একেক টা জালের সাথে ২০/৩০ জন করে শিকারী থাকে। ২০০০ হাত জালে থাকে ৫০ থেকে ৬০ জন। শিকারীদের এসব জাল চার’শ, পাঁচ’শ, বার’শ ও দুই হাজার হাত লম্বা হয়ে থাকে। শিকারীদের সবচেয়ে ক্ষতিকারক জাল হচ্ছে তিতপুঁিট মারার কৌশলী জাল। একে বিষ জালও বলা হয়ে থাকে। এই জাল পেতে শিকারীরা ছোট ছোট মাছের পোনা ধরে, গলফা জাল দিয়ে শিকার করা হয় বড় বড় মাছ। তাছাড়া সব শ্রেনীর মাছ শিকারে রয়েছে বেড়জাল। শিকারীদের সাথে জালের মালিকদের চুক্তি হল সব খরচ বাদে জালের ১ভাগ, শিকারীদের ২ ভাগ। তাতে করেই শিকারীদের জন প্রতি আট’শ থেকে একহাজার টাকা দৈনিক আয় থাকে। এই খরচের মধ্যে হাওর রক্ষা কমিটি ছাড়া হিসাব থাকে আর সব কিছু ঠিকঠাক রাখার। শিকারীদের নিকট থেকে সামছুল হক নামের একব্যাক্তি হাওর রক্ষা কমিটির নামে চাঁদা নেয়। হাওরের মধ্যে কত টাকার মাছ শিকার হল তার হিসাব রাখা হচ্ছে প্রতি মূহুর্তে। এক কথায় মাছ শিকার থেকে নিয়ে বিপনন সব কিছুই চলছে নির্ধারিত নিয়মে। তবে মজার ব্যাপার হল স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাগ্যে এসব মাছ খুব কম জুটে। সব মাছ রাজধানীতে চলে যায়। প্রকাশ্য ব্যবসা হলেও সংশি¬ষ্ট প্রশাসন তাতে নজর দেয় না। প্রশাসনের নির্লিপ্ততার কারন জানা আছে স্থানীয় জনসাধারনের। হাকালুকিতে মাছ না ধরলে সরকারী ভাবে প্রতি মাসে ভাতা দেয়া হবে এমন কথা বলে শিকারীদের আই.ডি কার্ড জমা নেওয়া হয়। জুড়ী উপজেলা মৎস্য অফিস উপজেলার যুবলীগের এক সদস্যের মাধ্যমে এসব কার্ড জমা নেন। এখন সরকারী ভাতাও আসছে না শিকারীদের শিকারও থামছে না। জুড়ী উপজেলা সহকারী মৎস্য অফিসার আবু ইউছুফ চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে মৎস্য শিকারীদের বিজিএফ তালিকা চাওয়ার কথা শিকার করেছেন। শিকারী আলমগীর(৪৫) ও তাহের আলী(৫০)কে বেআইনি মাছ শিকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায় বেআইনি জেনেও শিকার করতে হচ্ছে। তাছাড়া জিবীকা নির্বাহের কোন পথ নেই। তাহের আলী আরও জানান, আট জন সদস্যের পরিবারে তিনিই একমাত্র রোজগারী। তিনি তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জুড়ী শহরে একদিন ভিডিওতে নীল ছবি দেখতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে তিন মাস জেল খেটেছেন। সেই মামলায় প্রায় লাখ খানেক টাকা এ পর্যন্ত খরচ করেছেন। মামলাটি এখনও শেষ হয়নি বলে জানান তিনি। হাওরে মাছ ধরা প্রসঙ্গে জেলা মৎস্য অফিসার আহসান হাসিব খাঁন বলেন, প্রতিটি উপজেলায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে শিকারীদের প্রতিরোধের চেষ্টা চলছে। কিছুদিন আগেও জুড়ী উপজেলায় ৩/৪শ কেজি পোনা মাছ আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি। গত ২১ জুন শুক্রবার জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে কয়েক ড্রাম মাছ আটক করে তা গরীব জনগণের মাঝে বিলিয়ে দেন।
হাকালুকি হাওর থেকে প্রতিদিন কোটি টাকার মাছ আহরন হচ্ছে। কোটি টাকার এ বানিজ্যে শরিক ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতা থেকে নিয়ে সংশি¬ষ্ট প্রসাশনের কর্মকর্তা। একটি নিবিড় সম্পর্কে টোকেনের মাধ্যমে চলছে বানিজ্যটি। হাকালুকি হাওরে ছোট-বড় ২৩৮টি বিল রয়েছে। বিলগুলো ইজারা দিয়ে সরকার প্রতি বছর রাজস্ব আহরন করেন। এই বর্ষা মৌসুমে হাকালুকির বিস্তীর্ণ জলাভূমিতে নানা প্রজাতির মাছ তাদের বংশ বিস্তার করতে তৎপরতার সময় শিকারীদের পাতা ফাঁদে পড়ে ধরা পড়তে হচ্ছে। মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী-বড়লেখা-কুলাউড়া ও সিলেট জেলার ফেন্সুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ এই ৬টি উপজেলায় সম্পৃক্ত মিঠাপানির বৃহত্তম হাওর হাকালুকি। সংশি¬ষ্ট উপজেলা গুলোর বাসিন্দারা প্রশাসনের আনুকুল্য পেয়ে বানিজ্যের এ সিন্ডিকেট তৈরী করে নির্বিগ্নে তা করে যাচ্ছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, জুড়ী উপজেলার শাহাপুর, জাঙ্গিরাই, নয়াগ্রাম ও খাগটেখা মৌজার শত শত মানুষ হাওরে মাছ শিকারে নিয়োজিত রয়েছে। অনুরুপভাবে অন্য পাঁচ টি উপজেলার শিকারী রয়েছে হাকালুকিতে। এসব শিকারীরা তান্ডব চালাচ্ছে ২৪ ঘন্টাই। ফলে শুধু মাছই নির্বংশ হচ্ছে না ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে হাকালুকির জলজ উদ্ধিদের অস্থিত্ব। হোগা (চাপিলা), ইছা, কেচকি ও তিতপুঁটি শিকারের নামে এসব মৎস্য শিকারী ও সিন্ডিকেট সদস্যরা শিকার করে নিচ্ছে সব ধরনের মাছ। তাদের কাছে যেমন মা মাছ বলে কোন মাছ নেই তেমনি ডিমওয়ালা বলেও বাছ বিচার নেই। তিন শতাধিক বেড় জাল নিয়ে এসব শিকারী ঝাপিয়ে পড়ে হাকালুকিতে। দিবা রাত্র আহরন করে সব ধরনের মাছ। শিকারীরা বিত্তবান শ্রেনীর না হলেও জালের মালিকরা সবাই বিত্তবান। এসব জালের মালিকরা এতই বিত্তবান বিল গুলো ইজারা নেওয়ার সময় তারাই নেন। জালের মালিকরাই মূলত সৃষ্টি করেছে টোকেন সিস্টেমের। টোকেন ছাড়া জাল দিয়ে মাছ ধরে ডাঙ্গায় উঠলেই মাছসহ ধরা পড়ে যেতে হয় উপজেলা মৎস্য অফিসে। সেখানে গিয়ে আর মাছ ধরবে না হাওরে এমন শর্তে মুছলেকা দিয়ে টোকেন নিয়ে পূনরায় অসীম সাহসে শিকারে ঝাপিয়ে পড়ে। গত ১৭ জুন এমন দুজন শিকারী পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জুড়ী উপজেলা মৎস্য অফিসে গিয়ে মুছলেকায় ছাড়া পেয়ে যায়। শিকারী সুত্র জানায়, একেক টা জালের সাথে ২০/৩০ জন করে শিকারী থাকে। ২০০০ হাত জালে থাকে ৫০ থেকে ৬০ জন। শিকারীদের এসব জাল চার’শ, পাঁচ’শ, বার’শ ও দুই হাজার হাত লম্বা হয়ে থাকে। শিকারীদের সবচেয়ে ক্ষতিকারক জাল হচ্ছে তিতপুঁিট মারার কৌশলী জাল। একে বিষ জালও বলা হয়ে থাকে। এই জাল পেতে শিকারীরা ছোট ছোট মাছের পোনা ধরে, গলফা জাল দিয়ে শিকার করা হয় বড় বড় মাছ। তাছাড়া সব শ্রেনীর মাছ শিকারে রয়েছে বেড়জাল। শিকারীদের সাথে জালের মালিকদের চুক্তি হল সব খরচ বাদে জালের ১ভাগ, শিকারীদের ২ ভাগ। তাতে করেই শিকারীদের জন প্রতি আট’শ থেকে একহাজার টাকা দৈনিক আয় থাকে। এই খরচের মধ্যে হাওর রক্ষা কমিটি ছাড়া হিসাব থাকে আর সব কিছু ঠিকঠাক রাখার। শিকারীদের নিকট থেকে সামছুল হক নামের একব্যাক্তি হাওর রক্ষা কমিটির নামে চাঁদা নেয়। হাওরের মধ্যে কত টাকার মাছ শিকার হল তার হিসাব রাখা হচ্ছে প্রতি মূহুর্তে। এক কথায় মাছ শিকার থেকে নিয়ে বিপনন সব কিছুই চলছে নির্ধারিত নিয়মে। তবে মজার ব্যাপার হল স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাগ্যে এসব মাছ খুব কম জুটে। সব মাছ রাজধানীতে চলে যায়। প্রকাশ্য ব্যবসা হলেও সংশি¬ষ্ট প্রশাসন তাতে নজর দেয় না। প্রশাসনের নির্লিপ্ততার কারন জানা আছে স্থানীয় জনসাধারনের। হাকালুকিতে মাছ না ধরলে সরকারী ভাবে প্রতি মাসে ভাতা দেয়া হবে এমন কথা বলে শিকারীদের আই.ডি কার্ড জমা নেওয়া হয়। জুড়ী উপজেলা মৎস্য অফিস উপজেলার যুবলীগের এক সদস্যের মাধ্যমে এসব কার্ড জমা নেন। এখন সরকারী ভাতাও আসছে না শিকারীদের শিকারও থামছে না। জুড়ী উপজেলা সহকারী মৎস্য অফিসার আবু ইউছুফ চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে মৎস্য শিকারীদের বিজিএফ তালিকা চাওয়ার কথা শিকার করেছেন। শিকারী আলমগীর(৪৫) ও তাহের আলী(৫০)কে বেআইনি মাছ শিকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায় বেআইনি জেনেও শিকার করতে হচ্ছে। তাছাড়া জিবীকা নির্বাহের কোন পথ নেই। তাহের আলী আরও জানান, আট জন সদস্যের পরিবারে তিনিই একমাত্র রোজগারী। তিনি তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জুড়ী শহরে একদিন ভিডিওতে নীল ছবি দেখতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে তিন মাস জেল খেটেছেন। সেই মামলায় প্রায় লাখ খানেক টাকা এ পর্যন্ত খরচ করেছেন। মামলাটি এখনও শেষ হয়নি বলে জানান তিনি। হাওরে মাছ ধরা প্রসঙ্গে জেলা মৎস্য অফিসার আহসান হাসিব খাঁন বলেন, প্রতিটি উপজেলায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে শিকারীদের প্রতিরোধের চেষ্টা চলছে। কিছুদিন আগেও জুড়ী উপজেলায় ৩/৪শ কেজি পোনা মাছ আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি। গত ২১ জুন শুক্রবার জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে কয়েক ড্রাম মাছ আটক করে তা গরীব জনগণের মাঝে বিলিয়ে দেন। কুলাউড়া অফিস :

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com