গরুর শিম গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে কলেজ ছাত্রীকে মারধর ॥ থানায় লিখিত অভিযোগ

November 14, 2018,

প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ॥ কমলগঞ্জের আদমপুর ইউনিয়নে গরু শিম গাছ খাওয়া নিয়ে প্রতিবাদ করায় এক কলেজ ছাত্রীকে মারধর করেছে প্রতিপক্ষ। আহত কলেজ ছাত্রী কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার ১৩ নভেম্বর রাতে ছাত্রীর মা ৫ জনকে আসামীকে কমলগঞ্জ থানায় লিখিত আবেদন করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে আদমপুর ইউনিয়নের আধকানি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

আহত কলেজ ছাত্রী আধকানী গ্রামের আব্দুল হকের মেয়ে রিমা আক্তার (১৭)। সে কমলগঞ্জে আব্দুল গফুর চৌধুরী মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন কলেজ ছাত্রী এ প্রতিনিধিকে জানায়, প্রায় দুই বছর আগে তাদের একটি গরু চুরি নিয়ে প্রতিবেশী রেজান মিয়া ও তার ভাই রজব আলীর পরিবারের সাথে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে একবার সালিশ বিচারও হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে রেজান মিয়াদের একটি গরু তাদের(রিমাদের) বাড়ির একটি শিম গাছ খেয়ে ফেলে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে রেজান মিয়া, তার ছেলে রুবেল মিয়া (২৫), রেজান মিয়ার ভাই রজব আলীর ছেলে রনি মিয়া (২০), রকি মিয়া (১৮) ও মেয়ে নাজমিন (২২) এসে অতর্কিতে এসে তাকে (রিমাকে) মারধর করে। পরে পরিবার সদস্যরা রিমাকে উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। মঙ্গলবার রাতেই রিমা আক্তারের মা জয়গুন বেগম বাদি হয়ে ৫জনকে আসামী করে কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

আদমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদাল হোসেন বলেন, গরু বাড়ির শিম গাছ খেয়েছিল বলে রিমা মারমুখী হয়ে এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষ হারকাভাবে রিমাকে মারধর করেছে। বিষয়টি তিনি সালিশ বিচারে দেখে দিবেন বলেছিলেন। তার পরও রিমাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে রাতেই থানায় অভিযোগ করলে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে।

আব্দুল গফুর চৌধুরী মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ মো. হেলাল উদ্দিন মারধরে ছাত্রী আহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাঁকে জানিয়েই সে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। অভিযুক্ত রেজান মিয়া অভিযোগটি সঠিক নয় দাবি করে বলেন, শিম গাছ নিয়ে তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে রিমা আক্তার এ অভিযোগ করেছে। আসলে এখানে মারধরের কোন ঘটনাও ঘটেনি। তিনি আরও বলেন বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান সামাজিকভাবে দেখে দেবার কথা বললেও কোন একটি মহলের প্ররোচনায় ছাত্রীটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে পরে তার মা থানায় মিত্যে অভিযোগ করেছেন।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান অভিযোগ গ্রহনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি একজন উপ-পরিদর্শক তদন্ত করে দেখছেন।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com